যেন একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু শুরুটা করেছিল ঝোড়ো গতিতে। সেই দলটিই কোণঠাসা হয়ে পড়লো মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে। প্রথম ওভারে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিসহ দুই উইকেট শিকারের পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে বিরাট কোহলিকে তুলে নিয়েছেন কাটার মাস্টার। ওই ওভারেই তিনি শিকার করেছেন ২ উইকেট। অর্থাৎ দুই ওভারে ৪ উইকেট মোস্তাফিজের পকেটে।
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি। ঝোড়ো শুরু করে বেঙ্গালুরু। প্রথম ৪ ওভারে তারা তোলে ৩৭। রানের গতি কমাতে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানকে আক্রমণে আনেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। প্রথম ওভারেই ঝলক মোস্তাফিজের। তৃতীয় বলে পান উইকেট।
মারকুটে শুরু করেছিলেন ফ্যাফ ডু প্লেসি। কাটারে বেঙ্গালুরু অধিনায়ককে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ বানান মোস্তাফিজ। ২৩ বলে ৩৫ রানের থামে ডু প্লেসির ঝড়। দুই বল পর আরও এক উইকেট মোস্তাফিজের। মোস্তাফিজের সুইং বুঝতে না পেরে ব্যাটে লাগিয়ে এজ হন রজত পাতিদার (০), সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথম ওভারে ২ উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজের খরচ মাত্র ৪ রান।
১২তম ওভারে ফের মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন চেন্নাই অধিনায়ক। এবারও দুর্দান্ত বোলিং মোস্তাফিজের। বিরাট কোহলি মারতে গিয়েছিলেন ছক্কা। কিন্তু বাউন্ডারিতে রাহানে আর রাচিন দুজন মিলে দারুণ বোঝাপড়ায় নেন ক্যাচ। ২০ বলে ২১ করে ফেরেন কোহলি। ওই ওভারেই আরেক সেট ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিনকে দুর্দান্ত কাটারে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। ২২ বলে গ্রিনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। নিজের দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার ফিজের। ২ ওভারে ৭ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট!