পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে ঘুরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বিদেশি কূটনীতিকরা। রোববার আফগানিস্তান সীমান্তে গাড়িবহরে এই হামলার শিকার হন কূটনীতিকরা। এতে কূটনীতিকদের কিছু না হলেও হমালায় নিহত হয়েছেন এক পুলিশ অফিসার। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে কূটনীতিকদের গাড়িবহর যখন সোয়াট অঞ্চলের মালাম জাব্বায় পৌঁছায় তখন রাস্তার ধার থেকে আইইডি-র সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানি তালেবানদের একটি অংশ এই অঞ্চলে শক্তিশালী।
এ ঘটনায় গাড়ি বিস্ফোরণে এক পুলিশ অফিসার নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং কূটনীতিকদের সুরক্ষিত অবস্থায় ইসলামাবাদে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
হামলার ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ‘গাড়িবহরে থাকা পুলিশের প্রথম গাড়িটি বিস্ফোরণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে পুলিশ অফিসার নিহত হয়েছেন, তিনি ওই গাড়িতেই ছিলেন।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেই গাড়িবহরে এই হামলা চালানো হয়েছে সেখানে ইন্দোনেশিয়া, ইথিয়োপিয়া, কাজাখস্তান, পর্তুগাল, বসনিয়া, জিম্বাবুয়ে, রুয়ান্ডা, তুর্কমেনিস্তান, ভিয়েতনাম, ইরান, রাশিয়া, তাজিকিস্তানের কূটনীতিকেরা ছিলেন। তারা সকলে একসঙ্গে খাইবার পাখতুনখোয়ায় বেড়াতে গেছিলেন। পাকিস্তানে প্রশাসন জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর দ্রুত তাদের ইসলামাবাদে পৌঁছে দেওয়া হয়। সকলেই সুস্থ আছেন।
কূটনীতিকদের ওপর এমন হামলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। সেই সঙ্গে মৃত পুলিশ অফিসারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তারা।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দায় স্বীকার করেনি কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী। তবে তালেবান এর সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কেননা, ২০২২ সাল থেকে এই অঞ্চলে লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে তারা। ২০২৩ সালে জঙ্গিদের আক্রমণে ৯৩০ জন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই হাজার মানুষ। গত অগাস্টে দুইদিন ধরে জঙ্গিরা আক্রমণ চালিয়েছে। তাতে ৮৪ জন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।