পাকিস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষােভের জেরে রাজধানী ইসলামাবাদকে পুরো দেশকে বিচ্ছিন্ন করে রাখছে দেশটির সরকার। এতে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। এই অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমান কমপক্ষে দৈনিক ১৯০ বিলিয়ন রুপির কাছাকাছি।
রোববার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
শনিবার ইসলামাবাদে পিটিআইয়ের প্রতিবাদ মিছিল চলাকালীন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক আরোপিত সবচেয়ে খারাপ লকডাউন প্রত্যক্ষ করেছে।
বিক্ষোভ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগেই সরকার সব যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এই সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদসহ রাজধানী আশপাশের জনগণের দুর্দশার পাশাপাশি দুটি প্রদেশ পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ার স্বাভাবিক জীবন ও ব্যবসাকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিডিপি যা এই অর্থবছরে ৩.৬ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনের কারণে প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে। এতে অনুমান করা হচ্ছে, কৃষি খাতে দৈনিক ২৬ বিলিয়ন ডলার, শিল্পের ২০.৪ বিলিয়ন রুপি এবং পরিষেবা খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৬৬ বিলিয়ন রুপি।
মন্ত্রণালয়ের আরো তথ্য বলছে, আনুমানিক দৈনিক জিডিপি ৩৪২ বিলিয়নের পরিবর্তে রাজনৈতিক আন্দোলন এবং শাটডাউনের কারণে ১৯৮ বিলিয়ন হচ্ছে। এটা প্রত্যাশিত যে প্রতিদিন ১৪৪ বিলিয়ন রুপির আনুমানিক ক্ষতি হবে।
যান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান সরকার। এতে ব্যবসায়িক লোকসান আরো বাড়ছে। সবমিলিয়ে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে সরকারের পক্ষে।