প্রথমার্ধে লড়াইটা ছিল সমানে সমান। বরং সার্বিক বিচারে আর্জেন্টিনাকেই মনে হচ্ছিল ছোট দল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই সেই ভুল ভেঙে দেয় আলবিসেলেস্তেরা। ছয় ছয়টা গোল করে প্রতিপক্ষ কাজাখস্তানকে লজ্জায় ডোবায় তারা। সেইসঙ্গে কেটে ফেলে সেমিফাইনালের টিকিটটাও।

ফিফা ফুটসাল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কাজাখস্তানকে ৬-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিটি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।

এদিন প্রথমার্ধে খুব একটা লড়াই-ই করতে পারেনিন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। কাজাখস্তানের ১৪ শটের বিপরীতে তারা নিয়েছিল ১৩ শট। এর মধ্যে কাজাখস্তান ৫টি শট অন টার্গেটে রাখলেও আর্জেন্টিনা রাখতে পেরেছিল মাত্র ৩টি। শেষমেষ প্রথমার্ধের ২০ মিনিট শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে টার্ফে নেমেই একচেটিয়া আধিপত্য দেখায় আর্জেন্টিনা। সুযোগটা অবশ্য তৈরি করে দেন কাজাখস্তানের গোলরক্ষক হিগুইতা। টানা দুই গোল হজমের পর পোলপোস্ট ছেড়ে আক্রমণে ওঠেন তিনি। তাতে গোলপোস্ট এক রকম ফাঁকা পেয়ে একের পর এক বল জালে জড়াতে থাকেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। অন্যদিকে গোলরক্ষকসহ পাঁচজনের সবাই আক্রমণে গিয়ে মাত্র একবার সফল হয় কাজাখস্তান। সেটাও আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক গোলপোস্ট ছেড়ে অনেকটা বেরিয়ে আসায়।

ম্যাচের ৪ মিনিট বাকি থাকতে গোলরক্ষকের অনুপস্থিতিতে বারে বল সেভ দিতে গিয়ে হাতের স্পর্শ লাগে দওরেন তুরসাগুলভের। তাতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে ফুটবলের মতো ফুটসালে লাল কার্ড দেখলে খেলোয়াড় কমে না। তার পরিবর্তে অন্য একজনকে নামায় কাজাখস্তান। এদিকে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় আর্জেন্টিনা।

শেষ পর্যন্ত ৬-১ গোলের জয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় তারা। আর্জেন্টিনার হয়ে জোড়া গোল করেন কেভিন আরেইতা। একটি করে গোল করেন মাতিয়াস রোজা, আনহেল ক্লওদিনো, সেবাস্তিয়ান কোর্সো ও লুকাস বোলো আলেমানি। কাজাখস্তানের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন দওরেন তুরসাগুলভ।

ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে আগামী ৩ অক্টোবর ফ্রান্সের মোকাবিলা করতে হবে তাদের। ওই ম্যাচ জিতলে ৮ বছর পর ফের শিরোপা জয়ের হাতছানি থাকবে আর্জেন্টিনার সামনে।

টুর্নামেন্টের আরেক সেমিফাইনালে লড়বে ব্রাজিল-ইউক্রেন। ফাইনাল মাঠে গড়াবে ৬ অক্টোবর।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *