২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জো বাইডেনের কাছে হেরে যাওয়া প্রার্থী ও রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। হেরে যাওয়ার বিষয়টি না মানতে পেরে ট্রাম্প প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছিলেন। তদন্তে দোষীও সাব্যস্ত হন। কিন্তু ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় ওই অপরাধ থেকে বেঁচে গেছেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন একজন কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। কারণ নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে কোনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়টি মার্কিন বিচার দপ্তর অনুমোদন করে না। খবর বিবিসি ও এএফপির।

ট্রাম্পের ওই অপরাধের তদন্তে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ কাউন্সেল নিযুক্ত হন জ্যাক স্মিথ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতে ১৩৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি কংগ্রেসে পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরাধগুলো ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য যথেষ্ট ছিল। তদন্তে অভিযোগ, নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টায় ট্রাম্প ‘নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে’ বলে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছিলেন। তাছাড়া ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে হামলার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছিলেন।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল ওয়েবসাইটে নিজে নির্দোষ থাকার বিষয়টি আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, তারা অভিযোগের প্রমাণ পায়নি। এ জন্যই আমি বিপুল ভোটে জিতেছি। ভোটাররা আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। তদন্তের শুরুতেই ট্রাম্প অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এদিকে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার মনোনয়নের ব্যাপারে নজর রাখছে মার্কিন সিনেট। এ জন্য ১৩ জন মনোনীত প্রার্থীকে ১১টি কমিটির সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের অনেকেই যৌন নির্যাতন, অতিরিক্ত মদ্যপান কিংবা ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির মতো অভিযোগ নিয়ে বিতর্কের মুখে রয়েছেন। ট্রাম্পের মনোনীতদের মক শুনানিতে অংশ নিতে হচ্ছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *