টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়। এরপর টানা ছয় হারে প্লে অফের স্বপ্ন ভাঙতে চলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা তিন জয়ে ফের আশা জাগিয়েছেন বিরাট কোহলিরা।
শনিবার রাতে তারা গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েছেন ৪ উইকেট আর ৩৮ বল হাতে রেখে। ১১ ম্যাচে চতুর্থ জয় নিয়ে সাত নম্বরে বেঙ্গালুরু। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৭ নম্বর হারে নয় নম্বরে গুজরাট। দুই দলেরই পয়েন্ট এখন ৮। সমান পয়েন্ট পাঞ্জাব কিংসেরও। অর্থাৎ তাদের সবার আশা বেঁচে রয়েছে।
বেঙ্গালুরুর বোলাররাই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। কোহলিদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১৪৮ রানের। ওপেনিংয়ে কোহলির ২৭ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় ৪২ আর ডু প্লেসির তাণ্ডবে জয়ের পথ অনেকটাই সুগম হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর।
ডু প্লেসি ২৩ বলে খেলেন ৬৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। যে ইনিংসে ১০টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে জশ লিটল আর নুর আহমেদের দারুণ বোলিংয়ে লড়াইয়ে ফিরেছিল গুজরাট।
বিনা উইকেটে ৯২ থেকে ১১৭ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বেঙ্গালুরু। তবে দিনেশ কার্তিক আর স্বপ্নীল সিং দলকে বিপদে পড়তে দেননি। কার্তিক ১২ বলে ২১ আর স্বপ্নীল ৯ বলে হার না মানা ১৫ করে বেঙ্গালুরুকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
জশ লিটল ৪৫ রান খরচ করলেও একাই নেন ৪টি উইকেট। নুর আহমেদের শিকার ২৩ রানে দুটি।
এর আগে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে ১৪৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় গুজরাট টাইটান্স।
টস জিতে গুজরাটকে ব্যাট করতে পাঠায় বেঙ্গালুরু। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরু বোলারদের সামনে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে গুজরাটের ব্যাটাররা। ঋদ্ধিমান সাহা ১, শুভমান গিল আউট হন ২ রান করে। সাই সুদর্শন করেন ৬ রান। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন শাহরুখ খান।
ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে ২০ বলে ৩০ এবং রাহুল তেওয়াতিয়ার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। ১৮ রান করেন রশিদ খান এবং ১০ রান করেন বিজয় শঙ্কর।
বেঙ্গালুরুর হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ, জস দয়াল এবং বিজয়কুমার বশাক।