যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় গাজায় আটক থাকা বন্দিদের মুক্তি ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য স্থগিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপরই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আগামী শনিবার দুপুরের মধ্যে সকল বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। আর তেমনটি না হলে গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির অবসান হওয়া উচিত। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার বলেছেন, যদি শনিবার দুপুরের মধ্যে গাজায় আটক সকল বন্দিকে ফিরিয়ে না দেওয়া হয় তবে তিনি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি বাতিল করার প্রস্তাব দেবেন এবং এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেবেন যা “হঠাৎ করেই সহিংস হয়ে উঠবে”। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি জর্ডান এবং মিসরকে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন যদি তারা গাজা থেকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের স্থানান্তরিত না করে।

এর আগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বন্দিদের মুক্তি ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য স্থগিত করে হামাস। হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেছেন, “গত তিন সপ্তাহে, প্রতিরোধ বাহিনীর নেতারা শত্রুদের (ইসরায়েল) চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়টি অনুসরণ করেছেন। তারা চুক্তির শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বাস্তচ্যুত সাধারণ মানুষের উত্তর গাজায় ফেরায় বিলম্ব করা, বিভিন্ন জায়গায় তাদের ওপর হামলার মতো ঘটনাও এর মধ্যে রয়েছে। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে দিতেও ব্যর্থ হয়েছে তারা।” আবু ওবায়দা আরও বলেছেন, “অপরদিকে প্রতিরোধ বাহিনী তাদের কথা সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করে চলেছে।” তিনি বলেন, “আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার ইহুদিবাদী বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার যে সময় নির্ধারণ করা ছিল, সেটি স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। যতক্ষণ না দখলদাররা চুক্তির শর্ত পূরণ করবে ততদিন আমরা এই সিদ্ধান্তে অটল থাকব।”

হামাসের এই ঘোষণার পর সেনাদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *