গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে দলের অবস্থান জানান দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সকালে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘৫৩ বছর পরও আজ দেখি যে কারণে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি সেই কারণটি এখনো বলবৎ। অর্থাৎ এখনো গণতন্ত্র নেই, মৌলিক অধিকার নেই, এখনো মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, এখনো মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। জাতির অর্থনীতির কোষাগার আজ খালি হয়ে গেছে। আকাশচুম্বি জিনিসপত্রের দামে আজ মানুষ দিশাহারা।
এ মহান দিনে আমরা এখানে এসেছি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে এবং তার আত্মার জন্য দোয়া করতে। আজ এ প্রাঙ্গণ থেকে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে আমাদের আকাঙ্খিত গণতন্ত্র অর্জিত না হবে আমাদের লড়াই চলবে, লড়াই চলতে থাকবে।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আবদুল মঈন খান জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করে শ্রদ্ধা জানান। তারা প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এসময়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফরহাদ হালিম ডোনার, মাসুম আহমেদ তালুকদার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, রফিক শিকদার, এসএম জাহাঙ্গীর, রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মহানগর উত্তরের আমিনুল হক, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুব দলের মোনায়েম মুন্না, উলামা দলের নেছারুল হক, জাসাসের লিয়াকত আলী, ছাত্র দলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির, ঢাকা জেলা বিএনপির খন্দকার আবু আশফাক প্রমুখ নেতারা ছিলেন।