অভিনেত্রীর কথায়, ‘কী যেন একটা খটকা ছিল। এরপর মার্চ মাসে নিজের বিশেষ অঙ্গের স্বল্প ভিডিও পাঠান’। অভিনেত্রীর দাবি, বিশেষ কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ওই ভিডিও পাঠানো হয়েছিল, যাতে ১ বারের বেশি সেই ভিডিও না খোলা যায়। তবে সন্দেহ হওয়ায় তিনি তখনই স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছিলেন।

আরজি কর কাণ্ডের আবহেই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে উঠছে একের পর এক যৌন হেনস্থার অভিযোগ। ইতমধ্যেই পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন দুজন অভিনেত্রী। এমনকি অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের-এর বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন এক মডেল। এবার অরিন্দম শীল পরিচালিত ছবি ‘মিতিন মাসি’র এক অভিনেত্রী  টালিপাড়ার এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনলেন।

অভিযোগ, হোয়াটসআপে ওই অভিনেত্রীকে বিশেষ অঙ্গের ছবি পাঠিয়েছিলেন ওই প্রযোজক। ঠিক কী ঘটেছিল?

অভিনেত্রী আনন্দবাজারকে জানান, অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিংয়ের কাজও করেন ওই অভিনেত্রী। তিন বছর আগে এক স্বর্ণ সংস্থার বিজ্ঞাপনের কাজ করতে গিয়েই ওই প্রযোজকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তার। শুটিং ভালোভাবেই মিটেছিল। এরপর একদিন ওই প্রযোজকের তরফে কফি খেতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয় তাকে। অভিনেত্রীও গিয়েছিলেন, সেদিন থেকেই একটা অস্বস্তির মধ্যে ছিলেন তিনি।

অভিনেত্রীর কথায়, ‘কী যেন একটা খটকা লাগছিল। এরপর গত মার্চ মাসে নিজের যৌনঙ্গের স্বল্প ভিডিয়ো পাঠান ওই প্রযোজক’। অভিনেত্রীর দাবি, বিশেষ কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ওই ভিডিও পাঠানো হয়েছিল, যাতে একবারের বেশি সেই ভিডিও না খোলা যায়। তবে সন্দেহ হওয়ায় তিনি প্রথমেই স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছিলেন। সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন একাধিক মেসেজ। আর তারপর থেকেই ওই প্রযোজককে এড়িয়ে চলছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই অভিনেত্রী।

এরপর সেপ্টেম্বরে আবারো ওই প্রযোজক অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর পর অভিনেত্রী পালটা লেখেন, ‘ভাবলেন কী করে ওই ছবি পাঠানোর পরও কথা বলব!’ তবে তারপরেও থামেননি প্রযোজক। পালটা বলেন, তিনি নাকি ভাবেননি অভিনেত্রী এমনটা করবেন। এমনকী ইনস্টাগ্রামেও অভিনেত্রীর সঙ্গে ওই প্রযোজক যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ।

অভিনেত্রী কথায়, তার কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে, তবে কিছুটা সংকোচ করেই তিনি প্রযোজকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানোর কথা ভাবেননি। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই প্রযোজক। তার দাবি, অভিনেত্রী তার বন্ধু নন, তার পরিচিত। প্রযোজকের দাবি, যদি তিনি এমন ভিডিও পাঠিয়ে থাকেন, তাহলে কেন কুশল সংবাদ জানতে চেয়ে মেসেজ করবেন। প্রযোজকের কথায়, হতে পারে ওইদিন তার ফোন কোনোভাবে হ্যাকড হয়েছিল। কেন এমন অভিযোগ উঠল সেবিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত প্রযোজক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *