শিশু এবং মাদক পাচারের অভিযোগ নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে ফোন; কল পেয়েই স্তম্ভিত হয়ে যান শিবাঙ্কিতা দীক্ষিত নামে এক ভারতীয় মডেল। কারণ তিনি তখন শুনতে পান, তার নামে নাকি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে! শুধু তাই নয়, এক পর্যায়ে হুমকি দিয়ে বলা হয়, গ্রেপ্তারি সমস্যা এড়াতে চাইলে টাকা দিয়ে সমাধান করা যাবে। এক পর্যায়ে সেই হুমকিদাতাদের টাকা দিতেও রাজি হন ওই মডেল, যার পরিমাণ ছিল প্রায় লাখ টাকা! আদতে এটি ছিল একদল প্রতারক চক্রের কারসাজি। সিবিআই অফিসারের পরিচয় দিয়ে সেই মডেলের কাছে আসে কলটি। বিষয়টি পুলিশের কানেও গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আচমকা এরকম অভিযোগে বিচলিত হয়ে পড়েন ওই মডেল। মূলত সাইবার প্রতারণার শিকার তিনি। পুলিশ আরও জানিয়েছে, উদ্বেগ আর দুর্ভাবনায় ধরতেই পারেননি যে, তিনি সাইবার অপরাধীদের খপ্পরে পড়েছেন। পুলিশকে ওই মডেল জানিয়েছেন, ওই ‘সিবিআই অফিসার’ তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে নানাভাবে হুমকি এবং ভয় দেখাতে থাকেন। শুধু তা-ই নয়, টাকা না দিলে হাজতে পাঠানোরও হুমকি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী সেই মডেলের দাবি অনুসারে, ধাপে ধাপে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তাদের মধ্যে কথোপকথন চলে। তার মধ্যেই ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। শেষে নিজেকে বাঁচাতে চাপের মুখে সাইবার অপরাধীদের দাবি মেনে নেন মডেল শিবাঙ্কিতা। তাদের দাবি মতো ৯৯ হাজার রুপি দেন বলেও জানিয়েছেন মডেল কিন্তু সেই মডেলের বোধ উদয় হয় যখন বুঝতে পারেন তিনি সাইবার প্রতারণার শিকার। পুলিশকে বিষয়টি জানান, একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।