একসময়ের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী সানা খান। বর্তমানে সিনে দুনিয়া থেকে দূরে রয়েছেন অভিনেত্রী। তবে অবসর সময়ে ইউটিউবিংয়ে ব্যস্ততা তার। নানা মুহূর্তের দৃশ্য নিজের মতো ধারণ করে ভ্লগও তৈরি করেন সানা। এবার এক ভ্লগে মাতৃত্বকালীন ডিপ্রেশন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন সানা খান। সেই ভ্লগ সানা পোস্ট করে বলেছেন, ‘মা হওয়ার পর শরীর মাঝে মাঝেই খারাপ হয়ে যায়। ঘুম যথেষ্ট হয় না। মাঝে মাঝেই ঘুম থেকে উঠে পড়তে হয়। সকালে শরীর একেবারেই চলে না কিন্তু সংসারের কাজ করতেই হয়।’

সানা আরও বলেন, ‘মেয়ের ফটোশুট আছে তাই জোর করে বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে তাকে। শুধু তাই নয়, ডাক্তারের কাছেও যেতে হবে তাকে। বাড়ির কোনও কাজ সকাল থেকে তিনি করতে পারেননি কারণ শরীরের অসুস্থতা। সারাদিনের স্বাভাবিক চক্র ব্যাহত হয়েছে তাই স্বাভাবিকভাবেই শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তিনি।’ মাতৃত্বকালীন ডিপ্রেশন নিয়ে সানা বলেন, ‘আপনিও যদি মাতৃত্বকালীন ডিপ্রেশনে ভোগেন তাহলে বেশি চিন্তা করবেন না। অতিরিক্ত চিন্তা আপনার শরীর অসুস্থ করে দেবে। নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখার চেষ্টা করুন দেখবেন সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে।’ কিন্তু সানার মুখে এই কথা শুনে বেশ ক্ষিপ্ত হয়েছেন সকলে। একজন লিখেছেন, ‘ডিপ্রেশন থেকে বের হয়ে আসা এত সোজা নয়। আপনি হয়ত জানেন না ডিপ্রেশন হলে কি হয়’। অন্য একজন লিখেছেন, ‘আমি এক দশকের বেশি সময় ধরে বিষণ্নতার সঙ্গে লড়াই করছি। বারবার নিজেকে ‘ভালো আছি’ বোঝালেও কিছুতেই ভালো থাকতে পারছি না। এত সহজে বেরিয়ে আসা সম্ভব হয় না। আগে নিজেকে শিক্ষিত করুন। না জেনে কোনো কথা বলবেন না।’

নেটিজেনদের বক্তব্য অনুযায়ী, কোনো জ্ঞান ছাড়া মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে এইভাবে আলোচনা করা উচিত নয়। ডিপ্রেশন যে কথাটা ভয়ংকর হতে পারে তা হয়ত অভিনেত্রী নিজেও জানেন না, তাই এত অনায়াসে এই সমস্ত কথা বলতে পারছেন তিনি। বোঝাই যাচ্ছে, ডিপ্রেশন নিয়ে সানার মন্তব্য একেবারেই ভালো চোখে দেখেননি নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের অক্টোবরে সবাইকে চমকে দিয়ে বলিউডকে বিদায় জানিয়েছিলেন সানা খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নিজের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। কারণ হিসাবে জানান, তিনি নিজেকে ইসলামের কাছে সমর্পণ করতে চান। এক মাসের মধ্যে গুজরাটের হীরে ব্যবসায়ী মুফতি আনাসের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করেন। বিয়ের পর নিজের নামে বদলে রাখেন সৈয়দ সানা খান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *