আজ ১লা ফেব্রুয়ারী (শনিবার) সকাল ৯:০০ টায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে অ্যানুয়াল প্লান্ট টিস্যু কালচার এন্ড বায়োটেকনোলজি কনফারেন্স-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কনফারেন্স শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ প্লান্ট টিস্যু কালচার এন্ড বায়োটেকনোলজি (বিএপিটিসি এন্ড বি) এর যৌথ প্রযোজনায় সারাদিনব্যাপী চলে।

পবিত্র কোরআন তেলোওয়াতের মধ্যো দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিএপিটিসি এন্ড বি এর স্থানীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেকৃবির কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জামিলুর রহমান স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানরে মুল সেশন শুরু হয়। স্থানীয় সাংগঠনিক আহবায়ক, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ একরামুল হক প্লান্ট টিস্যু কালচার এন্ড বায়োটেকনোলজি নিয়ে আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে জলবায়ুর পরিবর্তন, এদেশের অধিক জনসংখ্যার বসবাসের জন্য দ্রুত নগরায়নের ফলে চাষের জমি কমে যাচ্ছে। তাই বর্তমান জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে আমাদের সীমিত জমিতে যুগ-উপযোগী ফসলের জাত আবিস্কার করে দেশের বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্যের যোগান দিতে হবে। আর এতে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ প্লান্ট টিসু কালচার এন্ড বায়োটেকনোলজি (বিএপিটিসি এন্ড বি) এর সকল শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও গবেষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস করি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেকৃবি’র উপ-উপাচার্য় অধ্যাপক ড. মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, যদি আমরা রোগ প্রতিরোধী উচ্চ ফলনশীল জাত আবিস্কার করতে চাই, তাহলে আমাদের টিস্যু কালচার ও বায়োটেকনোলজির লদ্ধ জ্ঞান অপরিহার্য। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএপিটিসি এন্ড বি এর সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ প্লান্ট টিস্যু কালচার এন্ড বায়োটেকনোলজি (বিএপিটিসি এন্ড বি) এর প্রেসিডেন্ট ঢাবি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাখ হরি সরকার। তাঁর মূল্যবান বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএপিটিসি এন্ড বি প্রথম পর্ব সমাপ্তি হয়।

অনুষ্ঠানর দ্বিতীয় পর্ব প্রবন্ধ উপস্থাপন শুরু হয় সকাল ১১:৩০ টায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কমপ্লেক্স এর ৩য় তলার সেমিনার কক্ষে। এই পর্বে ২৪ জন খ্যাতিমান শিক্ষক ও বিজ্ঞানী তাদের গবেষণা লদ্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং ৮০টির অধিক পোস্টার প্রবন্ধ প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, বিএডিসি, বিএআরআই, বিআরআরআই এবং বিভিন্ন বীজ কোম্পানী গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *