মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: “আ থিন ভয়েস অফ মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কারস”। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিন্তাং অবস্থিত পিঠাঘর রেস্তোরার সভা কক্ষে নিজ উদ্দোগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভুগি মালয়েশিয়া প্রবাসী হারুন অর রশিদ।
১৩ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে পরিবারে সচ্ছলতা আনতে বৈধ পথে প্রবেশ করে মালেশিয়ার ফেল্ক্রা বারহেড নামে একটি পাম বাগানের কাজে। কঠোর পরিশ্রম ও জঙ্গলময় পরিবেশ হলেও পরিবারের কথা ভেবে দীর্ঘ ৬ বছর কাজ করেছেন হারুন তার ভিসায় উল্লেখিত কোম্পানি ফেল্ক্রা বারহেড এ। কোম্পানির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কর্মকর্তা তার ভিসা নবায়ন করার আশ্বাস দিলেও তা না করে হঠাৎ করেই তাকে না জানিয়ে বিমান টিকেট ও ভিসার মেয়াদ উত্তির্ন পাসপোর্ট হাতে ধরিয়ে দিয়ে হারুনকে দেশে চলে যেতে বলা হয়। হতাসাগ্রস্ত হারুন ওই কর্মকর্তার কাছে জানতে চান কেন তাকে না জানিয়ে এবং কি কারনে জোর করে তাকে দেশে প্রেরন করবে? জবাবে বলেন, কোম্পানি আর তার সাথে নতুন করে চুক্তি নবায়ন করবে না।
এমতাবস্থায় হারুন হয়ে পড়ে অবৈধ অভিবাসী, কোম্পানির দারস্থ হয়েও সহায়তা না পাওয়ায় অভিযোগ দায়ের করেন আন্তর্জাতিক লেবার ও মানবাধিকার সংস্থায়, সহায়তার আশ্বাস পেলেও আলোর মুখ দেখেনি হারুন, পরিশষে দ্বারস্থ হয় নিজ দেশের দূতাবাসে।
কর্মকর্তার রক্তচক্ষু সহ্য করেও সহায়তার পাবার আশায় জমা দেন প্রয়োজনীয় তথ্যাদি। দিন মাস পার হলেও নিজ দেশের দূতাবাসে প্রয়োজনীয় সহায়তা না পাওয়ায় এবং তিরস্কারের স্বীকার হয়ে হারুন সিদ্ধান্ত নেন স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে।
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ক্ষতিপূরণ বা অন্য কিছু চাইনা, দেশে যেতেও আমার কোন আপত্তি নেই, আমার শুধু একটাই দাবী বৈধ ভাবে এসে অবৈধ, কালো তালিকা ভুক্ত হয়ে স্থানীয় ইমিগ্রেশনে ক্ষমা চেয়ে কেন দেশে যেতে হবে? আমি সবুজ পাতা, কেন আমাকে কালো করা হলো? আমিতো কোন অপরাধ করিনাই?
এই কাহিনী শুধু হারুনের নই, লক্ষাধিক প্রবাসী শ্রমিকের কাহিনী। সরকার জেনেও কোন পদক্ষেপ নেই না, দূতাবাস তথ্য যাচাই না করেই পান দোকানের নামে শত শত কলিং এর অনুমোদন দেই, বৈধ হয়ে বিদেশ পাড়ি দেয়া মাত্রই অবৈধ হয়ে যায় এ নজির কারো অজানা নেই, তবুও সরকার সিন্ডিকেটের কাছে নতজানু হয়ে বিসর্জন দেয় রেমিটেন্স যোদ্ধা নামক প্রবাসী শ্রমিকের ভাগ্য। তবে হারুন কলিংএ উল্লেখিত কোম্পানিতে এসেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে হারুন সকল প্রবাসীদেরকে তার পাশে থাকার আহ্বান জানান, তিনি দেশে ফিরেও প্রবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় চলমান রাখবে তার লড়াই। অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহাঙ্গির হাওলাদার ও হান্নান মল্লিক।
