বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়েই রান তুলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু স্বাগতিকরা একটা জায়গায় এগিয়ে। বাংলাদেশ যেখানে দলীয় ১০০ রান করতেই ৫ উইকেট হারায়, সেখানে উইন্ডিজদের ১০ উইকেটই হাতে আছে। ১৮.৪ ওভারে মেহেদি মিরাজের দল ১০০ করেছিল, ক্যারিবীয়রা করেছে ১৯ ওভারে। এরই মাঝে আবার এভিন লুইসের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন সৌম্য সরকার। নয়তো বাংলাদেশ ৭৯ রানে প্রথম সাফল্য পেতো। বাংলাদেশের দেওয়া ২২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ১০ ওভারে ৫৪ রান তুলেছে ক্যারিবীয়রা। ওই সময় বাংলাদেশও ৫৫ রান করেছিল, কিন্তু হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। মোটাদাগে বাংলাদেশি ব্যাটারদের অস্থিতিশীল ব্যাটিংই মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এটাই সম্ভবত ক্যারিবীয় ভূমিতে দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে সিরিজ হারের কারণ হবে টাইগারদের জন্য।
এই প্রতিবেদন লেখার আগপর্যন্ত ২২ ওভারে ১ উইকেটে ১২৩ রান করেছে শাই হোপের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য ২৮ ওভারে স্বাগতিকদের আর ১০৫ রান দরকার। বাংলাদেশ প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসের ২১তম ওভারে, ১০৯ রানে। নাহিদ রানার বলে আঘাত পেয়ে বেশ কিছুক্ষণ কাতরাচ্ছিলেন ক্যারিবীয় ওপেনার লুইস। তখনই তিনি কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিলেন। ঠিকঠাক দাঁড়াতেও কষ্ট হচ্ছিল তার। খানিক বাদেই টাইগার লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন আক্রমণে আসতে তার হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন লুইস। ৬২ বলে তিনি ফিরলেন ৪৯ রান করে। অবশ্য লুইস ব্যক্তিগত ২৮ রানেই ফিরতে পারতেন। ইনিংসের ১৪তম ওভারে মিরাজের বলে লং অনে ক্যাচ তুলেছিলেন লুইস। কিন্তু সহজ ক্যাচ হাত থেকে ফেলেছেন সৌম্য। শেষ পর্যন্ত লুইস ফিফটি না পেলেও আরেক উইন্ডিজ ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ঠিকই নিজের ফিফটি তুলে নিয়েছেন। ৬৩ বলে ৮টি চারে ৫৯ রানে অপরাজিত আছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। আরেক অপরাজিত ব্যাটার কেসি কার্টির ব্যাটে এসেছে ৭ রান।