গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচতে ডাবের চাহিদা এখন শীর্ষে। এ সময় ১ গ্লাস ডাবের পানি পান করলে পানি স্বল্পতা দূর হয়, শীতল হয় শরীর। তীব্র গরমে পানিশূন্যতা রোধসহ বিভিন্ন রোগে আরোগ্য পেতেও ডাবের পানির বিকল্প নেই। তবে এই ডাবও এখন সহজলভ্য নয়। অতিরিক্ত দামে ডাব এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরেই বলা চলে।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া (ক্লাব) এলাকা থেকে ট্রাকে করে ডাব যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীসহ দেশের বড় বড় শহরের আড়তে। এতে এলাকার বেকার সমস্যা লাঘবের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন চাষি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
ডাব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারবাকপুর ও শুক্তাগড় ইউনিয়নের নারিকেল বাড়িয়া (ক্লাব) এলাকায় রয়েছে ডাবের একাধিক মোকাম। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গ্রামে গ্রামে ঘুরে খুচরা ক্রেতারা ডাব কিনে মোকামে নিয়ে পাইকারদের হাতে তুলে দেন। প্রতিটি ডাবের ক্রয়মূল্য (আকারভেদে) ৫০ থেকে ৬৫ টাকা গাছ মালিককে দিতে হয় ক্রেতাদের। ২-৩ জনে গ্রুপ ভিত্তিক ডাব ক্রয় করেন। কেউ গাছে ওঠেন, কেউ নিচে দাঁড়িয়ে দড়ি দিয়ে ডাব অক্ষত নামাতে সাহায্য করেন। আবার কেউ ডাব নামানোর পর ছড়ি থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে পরিষ্কার করে এক জায়গায় জমা করেন।
সারাদিনের পরিশ্রমের মাঝে নাস্তা, গাড়িভাড়া দিয়ে পাইকারি বিক্রির মোকামে পৌঁছাতে ডাবপ্রতি আরও ৫ টাকা খরচ হয়। এরপর পাইকারদের কাছেও আকারভেদে ৮০ টাকা পর্যন্ত দামে ডাব বিক্রি করা হয়। পাইকার সেইসব ডাব কিনে ট্রাকে লোড দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বড় বড় শহরের আড়তে পৌঁছে দেন। ট্রাকে উঠিয়ে সাজিয়ে গাড়ি ছাড়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রক্রিয়ায় আরও ২-৩ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাদের বেতন এবং গাড়ির যাবতীয় খরচ শেষে প্রতিটি ডাব আড়তে পৌঁছাতে প্রায় একশ টাকা খরচ হয়।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুচরা ডাব ক্রেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা ডাবের আকার অনুযায়ী ৫০ থেকে ৬৫ টাকা দরে প্রতিটি ডাব ক্রয় করি। গাছে ওঠা ও সরবরাহের পরিশ্রম নিয়ে ৮০ পর্যন্ত দরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। পাইকাররা আমাদের কাছ থেকে ডাব কিনে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।