হামাসের সঙ্গে গত সপ্তাহে জিম্মি নিয়ে বৈঠক ‘খুব সহায়ক’ ছিল বলে জানিয়েছেন জিম্মি মার্কিনিদের মুক্তি নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত অ্যাডাম বোয়েলার। ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে’ জিম্মিরা মুক্তি পেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সিএনএনের ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানে বোয়েলার বলেন, “আমার মনে হয়, এমন একটা চুক্তি হতে পারে যাতে সমস্ত জিম্মিকে মুক্ত করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই মনে করি, আশা রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি সামরিক চুক্তির মতো কিছু আপনারা দেখতে পারেন।’

হামাসের সঙ্গে তার সরাসরি কথা বলার পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থ অবশ্যই আগে দেখবে, আর অন্যদের এটাও বোঝা উচিত ওয়াশিংটন ইসরাইলের এজেন্ট নয়।

হামাসের সঙ্গে ট্রাম্পের এ দূতের সরাসরি কথায় ইসরাইলি কর্মকর্তারা বেশ চটেছেন, প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ভেতরে ভেতরে তারা বোয়েলারের এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ।

ইসরাইলের বিরোধিতা সত্ত্বেও হামাস নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের দূত বৈঠক করেছেন।

বোয়েলার বলেন, হামাসের সঙ্গে তার সরাসরি বৈঠক নিয়ে ইসরাইলি কর্মকর্তা রন ডেরমার যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তা তিনি বুঝেছেন।

বোয়েলার জোর দিয়ে বলেছেন, তার এই বৈঠকে স্পষ্ট লক্ষ্য ছিল এবং তা হল, মেয়াদোত্তীর্ণ যুদ্ধবিরতিকে সম্প্রসারিত করার পথ অনুসন্ধান করা ও যুদ্ধ বন্ধ করা; এই যুদ্ধে হামাসের প্রাথমিক হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে এবং ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণে ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

বোয়েলার বলেছেন, আমি মনে করি, এটা খুবই কার্যকর বৈঠক ছিল। সবার বক্তব্য শোনার ক্ষেত্রে এটা সহায়ক হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *