বগুড়ার মহাস্থান মাহীসওয়ার ডিগ্রি কলেজের পলাতক অধ্যক্ষ, আওয়ামী লীগ নেতা মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে কলেজ তহবিলের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এ ব্যাপারে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন।
মামুনুর রশিদ জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জয়পুরহাট জেলা ও কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জয়পুরহাটে তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ কয়েকটি মামলা হয়। গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করার পর ১৮ আগস্ট স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র পাঠান। এরপর মতিউর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব লাভ করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কলেজের কয়েকটি হিসাব থেকে এক কোটি ৪৩ লাখ পাঁচ হাজার ৬৮১ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে অর্ধকোটির বেশি টাকা ভুয়া ভাউচারে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। অধ্যক্ষ সম্মান প্রথমবর্ষের ২৩ শিক্ষার্থীর ভর্তি ফি বাবদ এক লাখ ৬১ হাজার, তৃতীয় বর্ষের ৪০ শিক্ষার্থীর দুই লাখ ৮০ হাজার, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দুই লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া স্নাতক শিক্ষার্থীদের চার লাখ ৭৩ হাজার ৬৮০, ৬৫৪ শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র ও সোল্ডার ব্যাচ বানানো বাবদ এক লাখ এক হাজার ৪০, ভর্তি বাতিল করা শিক্ষার্থীর ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ফোন বন্ধ রাখায় সাবেক অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।