দেশের বিভিন্ন জেলায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর অধীনে বাস্তবায়িত নিবেদন কমপ্লেক্সের ঝরেপড়া শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে জব্দ করা হয়েছে নিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। বিষয়টি বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৫টি উপজেলায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর অধীনে ঝরে পড়া শিশুদের জন্যশিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে নিবেদন কমপ্লেক্স-নিক। যেখানে সদর,সরাইল, নবীনগর,বিজয়নগর ও আশুগঞ্জে ২০২২ সালের ১লা থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু হয়। বাস্তবায়নের সময় নিকের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা অর্থআত্মসাৎ করার প্রমাণ মিলেছে। বাস্তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিটি উপজেলায় ৭০টি করে শিক্ষাকেন্দ্র থাকার কথা থাকলেও একটিরও কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে নিকের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে নিজের মতো মন গড়া যুক্তি তুলে ধরেন আশুগঞ্জ প্রকল্প পরিচালক আব্দুল আউয়াল। নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি জানান, সাংবাদিকদের কাছে তথ্য দেয়ার কিছু নেই। কারণ সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময় নিকের শিক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে। এসময় সাংবাদিকের তথ্য চাওয়া নিয়েও কটুক্তি করেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা হয় নিকের প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশীজন গাইবান্ধার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসডিআরএস এর সাথে। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক এত্তেখা রসুল জানান, বেআইনিভাবে নিক চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আদালতে মামলা থাকা সত্যেও অ্যাকাউন্ট থেকে বেআইনিভাবে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অর্থআত্মসাৎসহ অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন নিকের নির্বাহী পরিচালক আয়াতুন্নবি মজুমদার। দাবি করেন, সব আইনের মধ্যেই হয়েছে। এসময় সাংবাদিককে দাম্ভিকতার সুরে বলেন সংবাদ প্রচার করতে। এতে তার কিছু যায় আসে না।
এ বিষয় বিস্তারিত জানতে কথা হয় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ইউনুছ আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে যেকোন দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। সব বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। ইউনুছ আলী আরো বলেন,প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মুল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।