অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক দলসহ নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা না পাওয়ায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে।
তবে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সম্প্রতি দেওয়া বক্তব্যে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে দলগুলো। নির্বাচন নিয়ে তাদের বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন। তবে নির্বাচন, সংস্কার ও সময় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে একটি রোডম্যাপ চান দলগুলোর নীতিনির্ধারকরা।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, নির্বাচন কবে হবে, তা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ করার পরে সরকারকে ঠিক করতে হবে। নির্বাচন তো সবারই চাওয়া। যত দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়া যাবে, তত দ্রুত দেশের জন্য মঙ্গল হবে। যত দ্রুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রত্যাবর্তন করা যাবে, ততই দেশের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা প্রত্যাশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা নির্বাচন দেবে।
নুর বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো কেউ কেউ ৬ মাস, কেউ ১ বছরের মধ্যে নির্বাচন চাচ্ছে। এটা আসলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সময়টা নির্বাচন করা উচিত। আমি মনে করি, এক বছরের মধ্যেই চাইলে নির্বাচন সম্ভব, এক বছর যথেষ্ট সময়। কারণ, গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে দেশে বিনিয়োগ আসবে না। দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে। সেক্ষেত্রে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যদি একটা অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন থাকে।