সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অনুরোধ জানিয়েছে বিএসএফ। বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় বিএসএফের পক্ষ থেকে এই অনুরোধ জানানো হলো।
শুক্রবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বিষয়টি জানিয়েছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমানার নিশ্ছিদ্র রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চলের জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও বদ্ধপরিকর। গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিযুক্ত বিশেষ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর বিএসএফ এই অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
বিএসএফ জানিয়েছে, ১২ আগস্টের পর থেকে বিএসএফ ও বিজিবির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ৭২২ দফায় বৈঠক করেছেন। বিবৃতিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী এই বাহিনী জানিয়েছে, উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী দুর্বল সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে একযোগে এক হাজার ৩৬৭টি সমন্বিত টহল (এসসিপি) পরিচালনা করেছে।
বিবৃতিতে বিএসএফ বলেছে, ‘এসব সীমান্ত বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। বিজিবি ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।’
এতে বলা হয়েছে, উভয় বাহিনীর কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগে করে চলেছেন এবং বাস্তব সময়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন অপারেশনাল তথ্য আদান-প্রদান করছেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএসএফের কলকাতা-সদর দপ্তর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক, হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।