নতুন আসা অভিবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ দিল কানাডা। স্থায়ীভাবে থেকে কানাডায় যারা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন হতাশায় ভুগছেন তারা। দেশটি ২০২৫ সাল থেকে অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা সামনের বছরগুলোতে আরও কমতে থাকবে।

রাজনৈতিক চাপের মুখে কানাডার সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আগামী বছর সবমিলিয়ে ৩ লাখ ৯৫ হাজার জনকে স্থায়ী বাসিন্দার সনদ (পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি স্ট্যাটাস) দেবে কানাডা। ২০২৬ সালে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ৩ লাখ ৮০ হাজারে। আর ২০২৭ সালে মাত্র ৩ লাখ ৬৫ হাজার জনকে দেওয়া হবে স্থায়ী বাসিন্দার সনদ।

এর আগে চলতি বছর ৪ লাখ ৮৫ হাজার জনকে স্থায়ী বাসিন্দার সনদ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল কানাডা। সামনের বছর থেকে যা বেশ বড় পরিমাণে কমে যাবে। অপরদিকে আগামী বছর অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা ৩০ হাজার কমিয়ে প্রায় ৩ লাখে নামিয়ে আনবে দেশটি।

অভিবাসীদের আশ্রয় ও কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য কানাডার বেশ সুখ্যাতি আছে। কিন্তু আবাসনের ব্যয় বাড়ার কারণে চাপের মুখে পড়েছে দেশটির সরকার।

দুই বছর আগে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পর কানাডিয়ানরা তাদের বাড়ি ভাড়ার দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দেন। এর মধ্যে বিপুল পরিমাণ অভিবাসী দেশটিতে প্রবেশ করায় বাড়ির দাম ও ভাড়া আরও বহুগুণ বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীরা বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন। কানাডিয়ানরা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রায়ই কথা বলছেন। এমন পরিস্থিতিতেই এলো এমন সিদ্ধান্ত।

অভিবাসীদের অধিকার বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র সৈয়দ হুসেইন বলেছেন, এই সিদ্ধান্তটি সবার জন্য খারাপ হবে। এখন কানাডায় অস্থায়ী মানুষের সংখ্যা বাড়বে। এছাড়া অনেকে অবৈধ হয়ে বসবাস করবেন। এতে করে চাকরির বাজারে তারা শোষণের শিকার হতে পারেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *