অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের ২০ মাস বয়সী ফুটফুটে শিশু আছিয়ার। অসুস্থতার কারণে প্রায় সাত মাস আগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে, তার হৃদযন্ত্রে জন্মগত দুটি ছিদ্র রয়েছে। যথাযথ চিকিৎসার অভাবে ইতোমধ্যে আয়শার হার্টের ভাল্ব এবং নিউরো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু অর্থাভাবে তার সঠিক চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। খুলনার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রহরীর চাকরি করেন আছিয়ার বাবা ফয়জুল ইসলাম। তার স্বল্প আয়ে তিন সদস্যের সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। তাই আদরের মেয়ের চিকিৎসা করানো তার কাছে অনেক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আছিয়ার বাবা ফয়জুল ইসলাম জানান, আমার মেয়ের হার্টে দুইটা ছিদ্র, এটা বাউফলে কোনো ডাক্তার ধরতে পারে নাই। দিনের পর দিন জ্বর, ঠান্ডা,কাশি লেগেই থাকতো। বাউফলের সৌরভ ডাক্তার রাজধানীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর রাজ্জাক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানায় হার্টে দুটি ছিদ্র রয়েছে। তখন কিছু ওষুধ দিয়েছিল আর বলেছিল ২ মাস পর পর পরীক্ষা করে দেখতে হবে এবং চার বছর পূর্ণ হলো অপারেশন করতে হবে। এ খরচ ব্যয়বহুল হওয়াতে ২ মাস পর পর চিকিৎসা করাতে পরিনি। সর্বশেষ যখন নিয়ে গিয়েছিলাম তখন জানতে পারি ছিদ্র দুটি বড় হয়ে গেছে, হার্টের ভাল্ব এবং রগে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এখন দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। আছিয়া আস্তে আস্তে খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দিয়েছে ও শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এদিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস কে এ রাজ্জাক জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব তার অপারেশন করতে হবে। অপারেশন সম্পন্ন হলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। এই অপারেশনের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় দুই লাখ টাকার প্রয়োজন, যা আছিয়ার বাবার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। তাই নিজের মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সামর্থ্যবানদের সাহায্য কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *