পূর্ণাঙ্গ সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ। দুদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে তারা। আজ দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামবে সফরকারীরা।

তবে বাংলাদেশের জন্য বরাবর ভয়ংকর ভেন্যু এই স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়াম। এই সফরে নাজমুলের সঙ্গে দলের সেরা ব্যাটার মুশফিকুর রহিমও নেই। তাই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে কঠিন পরীক্ষা দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

বাংলাদেশ দলের সঙ্গে এই সফরে নেই ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। তাকে জাতীয় দলে আর দেখা যাবে না। হেম্পের জায়গায় সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সফরে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করবেন। তারও বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু হবে।

দুই বছর আগে এই মাঠে বাংলাদেশই সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল। বাংলাদেশ ১০৩ ও ২৪৫ রানে অলআউট হয়ে সাত উইকেটে হেরেছিল। ২০১৮ সালে সেখানেই মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। অতীত পালটাতে যে তরুণদের অগ্নিপরীক্ষায় নামতে হচ্ছে। বাংলাদেশ দলের নয় ক্রিকেটারের ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলার অভিজ্ঞতা নেই।

এই মাঠে কেমার রোচ সব সময় বিধ্বংসী। এখানে নয় টেস্ট খেলে তিনি নিয়েছেন ৫০ উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষেও তার বোলিং রেকর্ড দুর্দান্ত। ২০.৭৯ গড়ে তিনি ৪৪ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে।

এছাড়া দুদলের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের (৩০১) চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে ক্যারিবীয়রা (৩০৯)। রোচ ছাড়াও জেডেন সিলস, শামার জোসেফ ও আলজারি জোসেফের তোপ সামলাতে হবে টাইগারদের। সফরকারীদের জন্য একটাই স্বস্তি, এ বছর সাত টেস্টের মাত্র একটিতে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশ সর্বশেষ চার টেস্টে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজেভাবে হেরেছে। তবে তার আগে পাকিস্তান সফরে প্রথমবারের মতো দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ তে জয়ের সুখস্মৃতি রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বলেই বাংলাদেশেরও কিছুটা আশা রয়েছে।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একই ম্যাচে বাংলাদেশের মাশরাফি মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। সেবারই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতেছিল। আবার দুই বছর পর মুশফিকুর রহিমেরও ঘরের মাটিতে এই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়।

এদিকে স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে পাঁচদিনই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই ভেন্যু ঐতিহ্যগতভাবে পেস বোলারদের জন্য সহায়তা করে। তবে বাংলাদেশ হয়তো দুই পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার নিয়েই মাঠে নামতে পারে। নাজমুল ও মুশফিক না থাকায় মিডল অর্ডার ব্যাটার মুমিনুল হককেই বড় দায়িত্ব নিতে হবে।

নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কাঁধের চোটে আগেই ছিটকে গেছেন। টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে অভিষেকের অপেক্ষায় মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্রিকেটাররা অনুশীলনের সঙ্গে অ্যান্টিগার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করেছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *