নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ভারতীয় আমদানি করা পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো এ কার্গো ইয়ার্ডে রাখা হবে। একই সঙ্গে ভারতে রপ্তানিমুখী বাংলাদেশি পণ্যবোঝাই ট্র্যাকগুলোই এ ইয়ার্ডে অবস্থান করবে। তবে ভারতীয় পণ্যবোঝাই আমদানি করা ট্রাকের চেয়ে ভারতে রপ্তানি পণ্যবোঝাই বাংলাদেশি ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এখানে অবস্থান করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বেনাপোল স্থলবন্দরে নির্মিত কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন ও বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে পণ্যজট কমাতে ও বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নির্মিত ‘কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নৌ-মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বন্দরের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান (অতিরিক্ত সচিব), যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, বিজিবি দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বেনাপোল পৌর প্রশাসক, ড. রাজীব হাসান, শার্শা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নুসরাত ফারিয়া, বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার, বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান প্রমুখ।
পরে তিনি বন্দর অডিটোরিয়ামে স্থলবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এটি চালু হওয়ার ফলে একসঙ্গে এই টার্মিনালে ১ হাজার ২শ থেকে ১ হাজার ৫শ পণ্যবাহী ট্রাক রাখা যাবে। এর ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমে আসবে। সীমান্ত বাণিজ্য ও রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মনে করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে বলে জানান এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান আলি।