ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে ছোটবেলার স্মৃতি নিয়ে কথা বলেছেন। যেখানে তিনি জানান, কলকাতায় এসে অভিনেত্রী যা পেয়েছেন তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। তবে জলপাইগুড়িকে বরাবরই মিস করেন। ঠিক যেমন এই শহরে চলে আসার পর পরিবারকে মিস করতেন। মিমি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার পরিবারকে খুব মিস করতাম। পরিবার ছাড়া জলপাইগুড়ির জন্যও মন খারাপ হতো। জলপাইগুড়িতে থেকে যেতে পারিনি, কারণ কাজের জন্য কলকাতায় আসতে হয়েছে। কিন্তু আমার জেলার কথা সব সময়ে মনে হতো। ওখানকার এত সবুজ আর নেচার কানেক্টটা এখানে পেতাম না। এছাড়া বোনেদের জন্য মন খারাপ হতো।’

‘এখন তো কেউ বিবাহিত, কেউ বিদেশে থাকেন, কেউ আবার কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন- জলপাইগুড়িতে আর কেউ নেই। ছোটবেলায় পূজার সময়ে সবাই একসঙ্গে হতাম। শনিবার–রবিবার বাবা–মায়ের সঙ্গে মামাদের সঙ্গে বেড়াতে যেতাম। দাদুর বাড়িতে যেতাম। জলপাইগুড়ির স্মৃতি মানেই ছোটবেলার স্মৃতি উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘এই কালচারটা ছোটবেলার এই স্মৃতিগুলো মনে পড়ত বারবার। আমরা দুপুরবেলা কখনও-কখনও সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়তাম। মানে, সব পারিবারিক স্মৃতিগুলোই মনের মধ্যে জড়ো হতো এই শহরে চলে আসার পর। জলপাইগুড়ির স্মৃতি মানেই ছোটবেলার স্মৃতি। পারিবারিক স্মৃতি। কলকাতায় যা অ্যাচিভ করেছি, পেয়েছি, তার জন্য আমি গ্রেটফুল। তবে মনের মধ্যে আমার জেলা রয়ে গিয়েছে।’ মিমির কথায়, ‘ছোটবেলায় স্কুলের বাইরে থেকে কোন খাবারটা সব থেকে বেশি কিনে খেতে এমন প্রশ্নের জবাবে মিমির ভাষ্য, ‘আমাদের স্কুলে বাইরের খাবার খাওয়া নিষেধ ছিল। দেখতে পেলে ফাইন করা হতো। তবে সবাই যেমন চাট, ফুচকা খায়, আমরা বন্ধুরাও খেয়েছি।’

‘তখন অলিতে–গলিতে মোমো পাওয়া যেত। এখন তো আরও বেড়েছে নিশ্চয়ই। আর একটা জিনিস শুধু শীতেই পাওয়া যেত, ভাপা পিঠে। এই ভাপা পিঠে দেখতে একেবারে ইডলির মতো হয়। চাল দিয়েই তৈরি হয়। এই খাবারে নিজস্ব কোনও টেস্ট নেই। মধু বা চিনি দিয়ে খেতে হয়। আমরা যেমন ছোটবেলায় চা দিয়ে খেতাম।’

অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘এখন এই ট্র্যাডিশনটা আছে কি না জানি না। আমি বীরপাড়ার স্কুলে পড়তে যেতাম। জলপাইগুড়ি থেকে দু’ঘণ্টার রাস্তা ছিল। মা এই ভাপা পিঠে তৈরি করে টিফিন বক্সে দিয়ে দিতেন। বাসে করে স্কুলে যাওয়ার সময়ে বন্ধুরা খেতাম। যেমন ফিলিং এই পিঠে, তেমনই হেলদি। এই পিঠের কথা এখনও মনে আছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *