সবশেষ আইপিএলেই নিজেকে আগ্রাসী ব্যাটার হিসেবে চিনিয়েছিলেন অভিষেক শর্মা। এখন ভারতীয় দলে এসেও তাই করে দেখাচ্ছেন। ১৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে হাঁকিয়ে ফেলেছেন দুটি সেঞ্চুরি। যার সবশেষটি আবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তাও রেকর্ড গড়ে। ছক্কার বন্যা বইয়ে দিয়ে।
আগের ম্যাচে ভারতের জয় নিয়ে বিতর্ক ছিল। এদিন যেন সে কারণেই তেতে ছিলো ভারতীয় দল। যার প্রমাণ ইনিংসের প্রথম বলেই সাঞ্জু স্যামসনের ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু। এরপর পুরোটা সময় ব্যাট হাতে তাণ্ডব চলেছে। যেই তাণ্ডবে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিষেক। ৫৪ বলে অভিষেকের খেলা ১৩ ছয় ও ৭টি চারে করা ১৩৫ রানের রেকর্ড ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২৪৭ রানের শক্ত পুঁজি দাঁড় করায় ভারত। যার জবাবে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট ইংল্যান্ড। ভারত ম্যাচ জেতে রেকর্ড ১৫০ রানের ব্যবধানে।
টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার একশর বেশি রানে জিতল ভারত। ২০১২ সালে কলম্বোয় বিশ্বকাপের ম্যাচে ৯০ রানের জয় ছিল আগের রেকর্ড। আর যেকোনো দলের বিপক্ষেই প্রথমবার একশর বেশি রানে হারল ইংল্যান্ড।
এদিন ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন অভিষেক। এর আগে ২০২৩ সালে আহমেদাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুভমান গিলের অপরাজিত ১২৬ ছিল সেরা। এদিন এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডটিও নিজের করে নিয়েছেন অভিষেক। একাই হাঁকিয়েছেন ১৩ ছক্কা। এর আগে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১০টি করে ছক্কা ছিল রোহিত শার্মা, সাঞ্জু স্যামসন ও তিলাক ভার্মার।
এছাড়াও অভিষেক এদিন টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩৭ বলে। ভারতের হয়ে যা দ্বিতীয় দ্রুততম, পূর্ণ সদস্য দুটি দলের মধ্যে ম্যাচেও দ্বিতীয় দ্রুততম। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার, একই বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সমান বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন রোহিত।
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জয়ের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে ভারত। আগামী বৃহস্পতিবার নাগপুরে হবে প্রথম ওয়ানডে।