রিয়াল মাদ্রিদ ২ : ১ আতলেতিকো মাদ্রিদ

ম্যাচের শুরুতেই গোল করলেন এক ব্রাজিলিয়ান। সে গোল চোখে লেগে থাকার মতো। কিন্তু আধা ঘণ্টার মধ্যে আরও এক চোখে লাগার মতো গোলে ম্যাচে সমতা নিয়ে এলেন এক আর্জেন্টাইন।

তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদ-আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচের নায়ক শেষ পযন্ত এঁদের কেউ নন। দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত এক গোল করে ম্যাচের সব আলো কেড়েছেন ব্রাহিম দিয়াজ। মরক্কোন উইঙ্গারের ওই গোলে ভর করেই মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।

দ্বিতীয়ার্ধে দিয়াজের গোলের আগেই মাদ্রিদ ডার্বি হয়ে উঠে জমজমাট। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই রিয়ালকে এগিয়ে দেন রদ্রিগো। মাঝমাঠ থেকে ফেদে ভালভের্দের বাড়ানো বল ধরে দ্রুতই আতলেতিকো বক্সে ঢুকে যান এই ব্রাজিলিয়ান।

দুই ডিফেন্ডারকে অকেজো রেখে বাঁ পায়ের শট দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে। যা আটকানোর কোনো সুযোগই ছিল না আতলেতিকো গোলকিপার ইয়ান ও’ব্লাকের। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি রদ্রিগোর ২৫তম গোল, ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে পঞ্চম সর্বোচ্চ।

রদ্রিগোর দুর্দান্ত গোলটির পর মনে হচ্ছিল মাদ্রিদ ডার্বি সবচেয়ে সুন্দর গোলটি দেখে ফেলেছে। কিন্তু ৩২তম মিনিটে আতলেতিকোর হয়ে আরও দারুণ গোল নিয়ে আসেন হুলিয়ান আলভারেজ। বল পায়ে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ দিক থেকে দূরের পোস্টে শট নেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। রিয়াল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি।

এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি আলভারেজের সপ্তম এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২২তম গোল।

প্রথমার্ধ ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধও শুরু হয় গতিময় ফুটবলে। আতলেতিকো মাদ্রিদকে বেশি উজ্জীবিত মনে হলেও ৫৫ মিনিটে গোল পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। সেটাও অনেকটা দিয়াজের একক নৈপূণ্যে।

ফারলাঁ মেন্দির বল ধরে আতলেতিকোর তিন ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে দূরের পোস্টে শট নিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন দিয়াজ। ফেব্রুয়ারি মাসে রিয়ালের সেরা খেলোয়াড় হওয়া দিয়াজের এই গোলটি দৃষ্টিনন্দনে ছাড়িয়ে যায় ম্যাচের আগের দুই গোলকেই।

শেষ পযন্ত ম্যাচে ব্যবধানও গড়ে দিয়েছে এই গোলটিই। আগের পাঁচবারের ধারাবাহিকতায় এবারও চ্যাম্পিয়নস লিগ নকআউটে আতলেতিকোর বিপক্ষে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *