ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে গত দুদিন ধরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। সোমবার (২৭ মে) দুপুর ১২টা থেকে বন্দরের প্রশাসনিক কাজ সচল হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এখনো কোনো জাহাজ জেটিতে ভিড়তে পারেনি।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সোমবার কোনো জাহাজ বহির্নোঙর থেকে বন্দরে আসেনি। আর দুই-এক ঘণ্টার মধ্যে এলে অপারেশনাল কাজ শুরু করা যাবে। দুপুরে প্রশাসনিক ও বন্দরের অভ্যন্তরীণ কাজ শুরু হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলার পর চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রার সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। এ সতর্কতা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা ও খালাসের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
পরে রোববার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলার পর চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রার সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। ওইদিন সকালেই বন্দর জেটি থেকে সব জাহাজ গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
দেশের এ প্রধান সামুদ্রিক বন্দর অর্থনীতির লাইফলাইনের অন্যতম প্রধান ধারক। বাংলাদেশের মোট আমদানি পণ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ এবং রপ্তানি পণ্যের ৮৫ শতাংশ পরিবাহিত হয়ে থাকে এ বন্দর দিয়ে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে টানা সাড়ে ১৫ ঘণ্টা বন্ধের পর চালু হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খোলা হয় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের একমাত্র টানেলটি।