স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, হাসপাতাল এবং শ্মশানগুলোতে চাপ বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কিছু ব্যক্তি জানিয়েছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, এইচএমপিভি, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯ সহ একাধিক ভাইরাস চীনে ছড়িয়ে পড়ছে।দাবি করা হচ্ছে, চীনে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
স্থাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, এইচএমপিভি ভাইরাসের লক্ষণগুলো করোনার মতো হতে পারে। তারা এ পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সার্স-কোভ-২ (কোভিড-১৯) নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্টে লেখা হয়,ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, এইচএমপিভি, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯সহ একাধিক ভাইরাসের উত্থানের মুখোমুখি হচ্ছে চীন। হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া এবং হোয়াইট লাংয়ে আক্রান্ত শিশুদের চাপ বাড়ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী বাড়ায় ছোট আকারে একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা পরিচালনা করছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশাসন রোগগুলো যাচাই ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি পদ্ধতি তৈরি করবে।
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ প্রশাসনের কর্মকর্তা ক্যান বিয়াও জানান, শীত ও বসন্তে চীনে মানুষজনকে নানা ধরনের শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তবে তিনি জানান এ সংখ্যা গত বারের চেয়ে কম হবে। কিন্তু গত ১৬ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চীনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে।