গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি কিনে প্রতারনার স্বীকার দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার গণমাধ্যম কর্মী মোঃ ওমর আলী মোল্লা। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বালীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়লর সিনিয়র শিক্ষক মোঃওমর আলী মোল্যা ও তার স্ত্রী মসলিন কটন মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাহনাজ আক্তার দম্পতি বিগত ০৪/০১/২০১৬ ইং তারিখে কালীগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রেিকৃত ৮১ নং সাব কাওলা দলিল মূলে উক্ত উপজেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার বালীগাঁও মৌজার এস,এ-৫৮৬ ও আর, এস-৩৯৯ খতিয়ান ভূক্ত এস,এ-১৪১৭ আর,এস -৯৪৯ও ৯৪৮ দাগের (১১+৩১)=৪২ শতাংশের কাতে এস,এ-১৪১৭ আর,এস -৯৪৯ নং দাগের সাইল জমি-১১ শতাংশের কাতে -৭.৭৫ শতাংশ জমি নিজ নামে ক্রয় করে। পরবর্তীতে সরকারের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার জন্য ঐ শিক্ষক দম্পতি তাদের নিজ নামে নামজারী ও জমাভাগ নথি নং-১১২৯/১৫-১৬ জোত নং-২৮০১সৃজন করিয়া ভূমি কর পরিশোধ করে ভূগ দখলে নিয়ত হন। পরবর্তীতে আরসিসি পিলার সহ ইট দ্বারা বাউন্ডারি নির্মাণ করিয়া ভোগ দখল করিতেছেন। এ ভাবে বেশ কয়েক বছর অতিবহিত হওয়ার পর বালীগাঁও গ্রামের বাছির উদ্দিন এর পুত্র জালাল উদ্দিন ঐ শিক্ষক দম্পতিকে জানান যে তারা যে সম্পত্তি খরিদ করিয়াছে ও তাদেরকে যে সম্পত্তি দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই সম্পত্তি দলিলে উল্লেখিত সম্পত্তির দাগ খতিয়ানের সাথে কোন মিল নেই। তাদের দলিলে যে সম্পত্তির দাগ খতিয়ান দেওয়া আছে বহু পূর্বেই এস,এ ও আর এস রেকডিয় মালিক আলা উদ্দিন, পিতা মাঈন উদ্দিন অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে ফেলে।জালাল উদ্দিনের দেওয়া তথ্যের বিত্তিতে তল্যাশী করিয়া জানিতে পারে যে ঐ জমি রেকডিয় মালিক আলা উদ্দিন ৩০/১০/১৯৮৫ইং তারিখে কালীগঞ্জ সাবরেজিস্টি অফিস এর দলিল নং-৮৪১০সাফ কবলা দলিল মূলে মহি উদ্দিন এর নিকট এবং পরবর্তী সময় পূর্বের তথ্য গোপন করিয়া ০৯/১১/১৯৮৫ইং তারিখে -৮৭৪৩ নং একই অফিসের সাব কবলা দলিল মূলে গেয়াস উদ্দিন পিতা বাছির উদ্দিন এর নিকট বিক্রি করে। সিরাজুল ইসলাম বিগত ০২/০৫/১৯৯০ইং তারিখে একই অফিসের এ ওয়াজ নামা দলিল মূলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর নামে মালিকানা হস্তান্তর করিলে সিরাজুল ইসলাম নিজ নামে নামজারী ও জমাভাগ নথি নং-১১১৬/১৪-১৫ জোত নং ২৬৯৩ সৃজন করেন এবং শিক্ষক দম্পতির নিকট বিক্রি করেন।সকল কিছু জানার পর শিক্ষক দম্পতি কালিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার অফিসের ০৪/০১/২০১৬ইং তারিখ এর দলিলে একটি শর্ত উল্লেখ ছিল যে এই জমির দাগ খতিয়ানে কোনরকম ভুল পরিলক্ষিত হইলে আমি অথবা আমার ওয়ারিশগণ তার সংশোধন করে দিতে বাধ্য থাকিব। ইহা দলিলের একটি অংশ হিসেবে গণ্য হইবে। ইতিমধ্যে সিরাজুল ইসলাম মারা যায় বিদায় দলিলে উল্লেখিত শর্তানুসারে তাদের নিকট বিক্রয় কারি মৃত মোঃ সিরাজুল ইসলামের ওয়ারিশ গনের নিকট বার বার যোগাযোগ করা সত্যেও এর কোন প্রতিকার পায় নাই । বরং এটা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করে। তাদের কাছে প্রতীয়মান হয় যে পুরো ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত, সাজানো এবং প্রতারনা মূলক ভাবেই এ ঘটানো হয়েছে। এই ব্যাপারে মোঃ সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ হুমায়ুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর অপর ছেলে মোঃ মোমেনের সাথে কথা বলা হলে তিনি দাগ খতিয়ান ও দখলে মিল নেই স্বীকার করেন ।তবে আমার বাবা জমি বিক্রি করেছে এই ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই