বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ ৬ নেতা। সোমবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানে ‘ফিরোজায়’ গিয়ে তারা সাক্ষাৎ করেন।
রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন এবং ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।
জানা গেছে, সাক্ষাতের সময় বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন রুহুল কবির রিজভীসহ নেতারা। এসময় বেগম খালেদা দেশবাসীকে তার রোগমুক্তির জন্য দোয়া করতে বলেছেন বলে উপস্থিত এক নেতা যুগান্তরকে জানান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত দশটায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সরাসরি তাকে যুক্তরাজ্যের পুরনো ঐহিত্যবাহী হাসপাতাল এনএইচএস’র অধীনে লন্ডন ক্লিনিক ভর্তি করা হবে।
সোমবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, কাতারের দোহা হয়ে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নামার পর তাকে বিশেষায়িত হাসপাতাল ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে। সেখানকার চিকিৎসকরাই তার চিকিৎসার বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত নেবেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্য সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিমানবন্দর সড়ক স্বাভাবিক রাখতে দলীয় নেতাকর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডন ৫গিয়েছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হা-মাদ আল থানি সৌজন্যে বিশেষ সুবিধা সম্বলিত কাতার এয়ার এম্বুলেন্সে কাতারের রাজকীয় চার চিকিৎসকসহ বাংলাদেশের ৬জন চিকিৎসক এবং নার্স, পরিবারের সদস্য ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ আরো ছয়জন খালেদা জিয়ার সাথে থাকছেন।
যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্ত্থনা জানাবেন তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৭ বছর পর মা ও ছেলের মধ্যে সাক্ষাৎ হবে। এর আগে ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য যুক্তফরাজ্যে গেলে তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মা খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় নিয়ে যান-যা নিয়ে তখন রাজনৈতিক অঙ্গনে তারেক রহমানকে নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছিল।