বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্যসাবেক সদস্য ড. মো. মতিউর রহমানের সখ্য নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এসব আলোচনার মধ্যে দুজনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা করছেন পেশাজীবীসহ নেটিজেনরা।
তাদের ভাইরাল হওয়া ছবির একটিতে দুজনকে হজের এহরাম বাঁধা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। আর অপর ছবিতে গভর্নর কার্যালয়ে রউফ তালুকদারকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ড. মতিউর রহমান।
ছাগলকাণ্ডের পর আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে বর্তমান গভর্নর অর্থসচিব থাকা অবস্থায় মতিউর রহমান ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদে নিয়োগ পান। বর্তমান গভর্নরের (তৎকালীন অর্থসচিব) জোর সুপারিশে মতিউর সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। এর মাঝেই তাদের ছবি ভাইরাল হলো সামাজিক মাধ্যমে।
বুধবার ছবি দুটি ভাইরাল হলেও কয়েকদিন ধরে দুজনের সখ্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ভাইরাল হওয়া দুটি ছবির মধ্যে একটি ছবি ২০২৩ সালে হজের সময়ে সৌদি আরবে তোলা। অপর ছবি ২০২২ সালের আগস্টে আব্দুর রউফ তালুকদার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগের পর তাকে শুভেচ্ছা জানাতে যান মতিউর রহমান।
এসব ছবি নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। ফেসবুকে একজন লিখেছেন, ‘মাসতুতো ভাই তারা। কতটা নিরাপদ ব্যাংকখাত, প্রশ্ন জনমনে।’ অন্যজন লিখেছেন, ‘একজন করখেকো, অন্যজন ব্যাংক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘মারহাবা! তাদের গলায় গলায় খাতির দেখে কেউ আবার হিংসা কইরেন না।’
এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘দুইটাকেই কেমন চেনা চেনা লাগে।’ অপরজনের স্ট্যাটাস ছিল, ‘তাহারা হজব্রত পালন করেন। আর আপনারা খালি হুদাই বদনাম করেন৷ এমন সাচ্চা ঈমানদার কর্তা আপনি কোথায় পাইবেন?
গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্রের মাধ্যমে কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষে লিখিতভাবে গভর্নরের কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়- গভর্নর অর্থসচিব থাকা অবস্থায় মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক বানাতে হস্তক্ষেপ এবং মতিউরের মাধ্যমে বেনামে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বিষয়ে ওঠা অভিযোগ নিয়ে। মুখপাত্রের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে গভর্নর বলেন, ‘এসব সঠিক না।