মুন্সীগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় প্রিমিয়ার সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান এ অর্থদণ্ড করেন। বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার চর মুক্তারপুর এলাকায় প্রিমিয়ার সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে দেখা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নবায়ন না করেই তারা ফ্যাক্টরি পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়া ফ্যাক্টরিতে যত্রতত্র বর্জ্য ফেলে রাখা ও নির্মাণ সামগ্রী খোলা অবস্থায় রাখা হয়েছে। এ সময় কোম্পানির পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার মো. আতাউল গনিকে পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকায় ১ লাখ টাকা, যত্রতত্র বর্জ্য ফেলে রাখায় ৫০ হাজার টাকা ও নির্মাণ সামগ্রী খোলা অবস্থায় রাখায় ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের আদেশ দেন পরিবেশ আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত মোবাইল কোর্ট। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ আদালতের অপর স্পেশাল ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সানোয়ার হোসেন ও মুন্সীগঞ্জ থানা ও পুলিশ লাইনের দুটি দল।

পরিবেশ আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী জাকির হোসেন বলেন, প্রিমিয়ার সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকা, যত্রতত্র বর্জ্য ফেলে রাখা ও নির্মাণ সামগ্রী খোলা অবস্থায় রাখায় ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *