বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারা।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নেতারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে গুলি চালিয়ে হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের নির্দেশে যারা গুলি চালিয়েছে তাদেরকে শনাক্ত করে গণহত্যার বিচার করতে হবে।
এ আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ। তারা কোথায় কী অবস্থায় আছে, যথাযথ তদন্ত করে প্রকৃত সংখ্যা দেশবাসীকে জানাতে হবে। তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
বৈঠকে রাষ্ট্র সংস্কার, অর্থনীতি শক্তিশালী, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গণহত্যার বিচার এবং দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
নেতারা আরও বলেন, পত্রিকায় এসেছে-ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার গত দেড় দশকে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ রেখে পালিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ১৮ লাখ কোটি টাকা। তারা দেশের গোটা অর্থব্যবস্থাকে লুটপাট করে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করেছে। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সকল সেক্টরে দুর্নীতি বন্ধ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসররা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা ভিন্ন ধর্মালম্বীদের উপর হামলা করে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। তাদের এসব চক্রান্ত বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলকে সোচ্চার থাকতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ মোবারক হোসাইন।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মো: আব্দুর রহমান প্রমুখ।