যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে টানা দুই টি-টোয়েন্টিতে হার। টেস্ট খেলুড়ে দেশের কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করা যায়? বাংলাদেশের ব্যর্থতায় রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসছেন সমর্থকরা।

এই ব্যর্থতার দায় কার? দল হিসেবে কতটা হতাশ বাংলাদেশ? পিচে কোনো সমস্যা ছিল কি? টাইগাররা কি হালকাভাবে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রকে? এমন সব প্রশ্ন ছুটে গেলো বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা সাকিব আল হাসানের দিকে।

সাকিব অবশ্য একপর্যায়ে বলেই ফেললেন, কেন এমন হলো সেটার ব্যাখ্যা তার কাছে নেই। তবে হারটা যে হতাশার সেটি স্বীকার করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘দল হিসেবে যে কোনো ম্যাচ হারই হতাশার। আপনি চাইবেন না ম্যাচ খেলে হারতে। অবশ্যই এটা হতাশার। তবে আমরা এখানে এসেছি বিশ্বকাপ খেলতে। এই সিরিজটি আমাদের জন্য হতে পারে সতর্কবার্তা। আমরা যেমন চাই, তেমন খেলতে পারিনি।’

ব্যাটাররা দুই ম্যাচেই ব্যর্থ। পিচে কোনো সমস্যা ছিল কি? সাকিবের জবাব, ‘আমার মনে হয় না পিচ ওতটা খারাপ ছিল। আমাদের ভালো ব্যাট করা উচিত ছিল। আমরা সেটা পারিনি।’

হারের দায় কাউকে এককভাবে দিতে চান না সাকিব। তার কথা, ‘এটা দলীয় খেলা। আপনি জেতেন বা হারেন, সবারই দায় নিতে হবে। কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ডিপার্টমেন্টকে দোষ দিতে চাই না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আপনাকে সব ডিপার্টমেন্টেই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে যে কোনো দলের বিপক্ষে জেতার জন্য। টি-টোয়েন্টিতে ছোট দল বড় দল বলে কোনো কথা নেই। এজন্যই এটা যে কোনো ফরম্যাটের তুলনায় রোমাঞ্চকর। গত দুই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র সেটা দেখিয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রকে কি হালকভাবে নিয়েছিল বাংলাদেশ? সাকিব তা মনে করেন না, ‘আমার মনে হয় না আমরা তাদের হালকাভাবে নিয়েছি। প্রথম ম্যাচে সম্ভবত আমরা যা চেয়েছিলাম করতে পারিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে একই ব্যাপার হয়েছে। আমরা পরিকল্পনা মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারিনি।’

সাকিব মনে করেন, টি-টোয়েন্টি সব দলই প্রায় সমান। উদাহরণ হিসেবে তিনি টেনে আনেন অন্য দলগুলোর প্রসঙ্গ। কদিন আগে আয়ারল্যান্ডের কাছে পাকিস্তানের হারের বিষয়টিও।

অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে সব দল প্রায় সমান সমান। আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ আর নেপালের ম্যাচ দেখেছি। তারা (নেপাল) খুব ভালো খেলেছে। আয়ারল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস ক্লোজ ম্যাচ খেলেছে। পাকিস্তান তো হেরেই গেছে আয়ারল্যান্ডের কাছে। টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো দলের দিন আসতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে কোনোকিছুই হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *