জন্মসূত্রে পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী তিনি। কিন্তু রাজ করেছেন বলিউডে। ভারত-পাকিস্তানের গণ্ডি পেরিয়ে এশিয়া উপমহাদেশেও তার গানের সুর মুগ্ধ করেছে লাখো-কোটি ভক্তের হৃদয়। যার নাম আতিফ আসলাম। ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ কনসার্টে অংশ নিয়েছিলেন এই শিল্পী। যেখানে টানা তিন ঘণ্টা ননস্টপ পারফরম্যান্সে দর্শক হৃদয়ে ঝড় তুলেছেন গায়ক।
আতিফ যখন মঞ্চে ওঠেন, তখন ঘড়িতে ঠিক রাত ৯টা। এরপর টানা তিন ঘণ্টা দর্শকের সামনে গাইলেন, নাচলেন তিনি। আয়োজকদের ভাষ্যমতে, ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট পারফরম্যান্স করবেন আতিফ, এমনটাই কথা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকার দর্শকদের ভালোবাসায় অভিভূত হয়ে মঞ্চে টানা ৩ ঘণ্টা পারফর্ম করেছেন শিল্পী।
বাংলাদেশকে আতিফ কতটা পছন্দ করেন, সেটা অনেকবার নিজের মন্তব্যেই প্রকাশ করেছেন। এবারও স্টেজে উঠেই জানালেন, ‘বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় বাড়ি।’ শুক্রবার রাতে স্টেজে ওঠার আগে ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ছিলেন আতিফ আসলাম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন।
এরপর শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ আদায় করতে হোটেল থেকে বের হন এই গায়ক। সড়কের পাশেই মাস্ক পরিহিত অবস্থায় তার নামাজ আদায়ের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ছবিটির সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ কনসার্টের আয়োজক ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশনের পক্ষ থেকেও।
ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে ঢাকার সড়কে আতিফ আসলামের নামাজ আদায়ের খবরটির সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হলে, ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশনের জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে- কনসার্টের দিন দুপুরে হোটেল থেকে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য বের হয়েছিলেন গায়ক। ধারণা করা হচ্ছে, খিলখেতের আশেপাশের এলাকার কোনো একটি মসজিদে নামাজ পড়েছেন তিনি।
এদিন ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ কনসার্টে ‘তু চাহিয়ে’ গান দিয়ে পারফর্ম শুরু করেন আতিফ আসলাম। গানটি শেষে দর্শকের উদ্দেশে আতিফ বলেন, বাংলাদেশ সবসময় আমার সেকেন্ড হোম, আমি অপেক্ষায় থাকি এখানকার দর্শকের ভালোবাসা নেওয়ার জন্য। মঞ্চে উঠার পরই টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছিল। তবে সেটা ঠিক করে আবার শুরু করতে পেরেছি এবং ধৈর্য ধরার জন্য সবার প্রতি ভালোবাসা।
এরপর আতিফ একে একে গেয়েছেন ‘তেরা হুনে লাগা হুন’, ‘জিনা জিনা’, ‘দিল দিয়া গাল্লা’,’ম্যায় তেনু সামজাওয়ান কি’, ‘সো জানে দো’, ‘ও রে প্রিয়া’,’মেরে পিয়া ঘার আয়া’, ‘আউগে যাব তুম ও সাজনা’, ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হে’, ‘পেহলি নাজার মে’, ‘পেহলা নাশা’, ‘কেয়া হুয়া তেরা ওয়াদা’, ‘মেরা গীত আমার কর দো’, ‘কুচ ইস তারহা’, ‘ওহ লামহে’, ‘তেরে লিয়ে’, ‘তু তু হে ওয়াহি’, ‘পেহেলি দাফা হে’, ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’।