ঢাকাই সিনেমায় আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। পেশাগত জীবনের চেয়ে ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি। সম্প্রতি আদালতে গায়ক শেখ সাদী জামিনদার হওয়ার পর থেকে তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে। বিষয়টি নিয়ে এবার সামাজিকমাধ্যমে মুখ খুললেন পরীমনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পরীমনি লিখেছেন, ‘আজ কোনো এক কারণে নিজেকে নিজের মতো করে অনেকগুলো প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করলো আমার। নিজের সঙ্গে কথোপকথন হলো খুব। নিজেকে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করলাম সবগুলোই।’
এরপর প্রশ্ন লিখেছেন, ‘১। পরী,আপনি কর্ম জীবনে কি এমন কাজ করেছেন বলে মনে করেন যার জন্য সাধারণ জনগণের আপনাকে নিয়ে এত মাতামাতি? বা পাশাপাশি গণমাধ্যমে আপনাকে নিয়ে এতো সম্প্রচার কেন হয় বলে মনে করেন? ২। আপনার কাজের থেকে লোকে আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে কেন পছন্দ করে? ৩। আপনার আগের জেনারেশনের থেকেও যদি আরও একটু আগে চলে যাই, যেমন- শাবানা, ববিতা, কবরী, রজিনাদের আমলে কি তারা তাদের কাজ নিয়ে যতটা ফোকাসে থাকতেন ততটা কি তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ফোকাসে থাকতেন? ৪। নিজেকে থামিয়ে দিলাম এরকম হাজারো প্রশ্নের থেকে।’
পরীমণির কথায়, কারণ, ‘জীবনে কখনও কখনও নিজের কর্ম অবস্থানের থেকে খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়ে ওই জীবনটা। প্রত্যেকটা জীবনের অধিকার আছে সুন্দর করে বেঁচে থাকার। আমার প্রথম অনুরোধ, প্লিজ এবার একটু ছেড়ে দেন আমাকে।’
হাতজোড়ের ইমোজি জুড়ে পরী লিখেন, ‘আমার কাজের বাইরে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর টানাটানি কইরেন না আল্লার ওয়াস্তে। বিশ্বাস করেন, এখানে আমার জীবনটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন। আমার সাকসেসফুল ক্যারিয়ারের থেকেও জরুরি আমার সুস্থ জীবন যাপনের। কারণ আমার বাচ্চাদের আমি একটা সুন্দর সুস্থ জীবন দিতে চাই। আমি আমার বাচ্চাদের মা/ একমাত্র অভিভাবক হয়ে আমি তার সর্বোচ্চটা দিতে চাই। যেমন করে হয়তো সব মায়েরাই চায়!’
অভীনেত্রী লেখেন, ‘গত তিন/ চারটা মাস আমার জীবনের সবথেকে কঠিন সময় পার করেছি আমি। কেন / কি জন্যে সেটার ডেসক্রিপশনটা দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে ধরে নিচ্ছি। আমি নায়িকা, আমি মেয়ে, সব কিছু ছাড়িয়ে আমি মানুষ। আমি এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কাছে প্রার্থনা করছি- হে মানুষ, হে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণ, তোমরা আমার ওপর এবার একটু রহম কর। আগে আমি সুন্দর করে একটু বাঁচি তারপর এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব।’
সম্প্রতি হত্যাচেষ্টা মামলায় পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। তার জামিনদার হন সাদী। এরপর থেকেই চলছে সাদীর সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে চর্চা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভোররাতে হাতজোড় পরীমনির।