দিনাজপুর জেলা নবাবগঞ্জ উপজেলায় নয়টি ইউনিয়নে ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা দরে চাল বিতরণে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। সকাল সাতটা থেকে চাল নেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এবং ৯ টার পর চাল বিতরণ শুরু হয় । দিনমজুর, রিক্সা শ্রমিক, জেলে, ও গৃহ কর্মী মহিলাদেরকেও দেখতে পাওয়া যায়, একজন মানুষ ৫ কেজির ঊর্ধ্বে চাল নিতে পারবে না মর্মে জানা যায়।
চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এই চালের চাহিদা বেড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। সবজি বাজার ব্যথিত অন্যান্য বাজারের মূল্য বৃদ্ধি হওয়াতে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে কষ্টের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। অনেক দিনমজুর পরিবার তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করাইতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে একজন রিক্সা শ্রমিক, ভ্যান শ্রমিক, দিনমজুর প্রতিদিন তিন থেকে চারশত টাকা আয় করে এবং প্রতিদিন কাজও ভাগ্যে জোটে না । মাসে ১৫ থেকে ২০ দিন কাজ জোটে, ১৫ থেকে ২০ দিনে কাজের আয় হয় ছয় হাজার হইতে আট হাজার টাকা এই আয়ের টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ বিল, সংসারের চাল, সবজি, তেল, মসলা, লবণ, চিকিৎসা,গায়ের জামা কাপড়,ও ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ আনুষঙ্গ জিনিস ও পারিবারিক চাহিদা মিটাতে গিয়ে পরিশ্রম করেও পরিবার সদস্যদের হাসি ফুটানো সম্ভব হয় না।