নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনকে ভালো পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সবাই জানতে চাইছে নির্বাচনের রোডম্যাপ কী, কবে নির্বাচন হবে। দেশি-বিদেশি অংশীজনরা জানতে অপেক্ষা করছেন। আজ নতুন ইসির শপথ নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়ে একটি ভালো বার্তা যাবে। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শপথগ্রহণ পরবর্তী কাজে নতুন নির্বাচন কমিশন সফল হবে বলে আশা করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে তারা যত দ্রুত সম্ভব এগিয়ে যাবে। সেটাই প্রত্যাশা থাকবে আগামী দিনে। তুরস্ক বাংলাদেশিদের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও সহজ এবং উৎসাহী করতে চায় বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্ক তাদের সম্পর্ককে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তার কথা জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন আমীর খসরু।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আগামীতে তুরস্ক ও বাংলাদেশের একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে সব সময় যেটা উঠে আসে যে নির্বাচন কবে? সবার একই প্রশ্ন নির্বাচন কবে? সেই প্রশ্নের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সবসময় বলে আসছি, একটি গণতান্ত্রিক সরকার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত যারা অংশীদার আছেন, তারা অপেক্ষা করছেন– নির্বাচিত সরকার এলে তারা তাদের সিদ্ধান্তগুলো নেবে। তুরস্ক সেটা জানতে চেয়েছে, নির্বাচন কবে হবে।
তুরস্কের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় আছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের টার্কিশ ভাষা নিয়ে কাজ করছে। আর ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের এখন ১.২ বিলিয়নের মতো ব্যবসা হচ্ছে। এটাকে সামনে কীভাবে আরও বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।