আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে এবার চাকরি হারাচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন।

পরীমণির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সময় তিনি গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের এডিসির দায়িত্বে ছিলেন। ঘটনা সামনে আসার পরে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) বদলি করা হয়। এরপরে তাকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, পরীমণিকাণ্ডে বিভাগীয় মামলায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গোলাম সাকলায়েনকে ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ পরামর্শের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকা পরীমণির বাসায় এডিসি গোলাম সাকলায়েন অবস্থান করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট দেখে। তাকে গুরুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে মতামত চেয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৩ জুন বোট ক্লাবের ঘটনার পর পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনলে মামলা হয়। মামলার পরদিনই আসামি হিসেবে ক্লাব নেতা ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেফতার হন আরও কয়েকজন সহযোগী।

মামলা তদন্তের অংশ হিসেবে পরীমণিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। তখনই ডিবির গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে পরিচয় হয় পরীমণির। এরপর দুজনের মধ্যে শুরু হয় যোগাযোগ। নিয়মিত পরীমণির বাসায় যাতায়াত শুরু করেন গোলাম সাকলায়েন শিথিল। মাঝে-মধ্যেই গাড়ি নিয়ে বের হতেন দু’জনে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুযায়ী, সবশেষ পরীমণি ডিবির কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের রাজারবাগের মধুমতি ভবনের বাসায় গিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন। ২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাতে গ্রেফতারের পর পরীমণি অকপটে স্বীকার করেন সবকিছু।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *