বলিউড অভিনেতা পারফেক্টশনিস্টখ্যাত আমির খানের ছেলে জুনায়েদ খান সম্প্রতি নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার ছবি ‘মহারাজ’ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তিনি আমির খানের ছেলে না হলে কখনই মহারাজে কাজ করার সুযোগ পেতেন না। এমনকি কেন লাল সিং চাড্ডায় তাকে নেওয়া হয়নি, সে কথাও জানালেন এ অভিনেতা।
জুনায়েদ খান বলেন, মহারাজের আগে আমি কিছু অডিশন দিয়েছিলাম। যেগুলো সেই সময় হয়নি। বাবা আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’র জন্য অডিশন দেওয়ার কথা জানালেন তিনি বলেন, কখনো কিছু রোল আপনি পান, কখনো পান না।
জুনায়েদ বলেন, যাই হোক বলতে সমস্যা নেই—আমার কাজ বাবার পছন্দও হয়। কিন্তু লাল সিং চাড্ডার বাজেট এমন ছিল যে, আপনি কোনো নতুন অভিনেতাকে প্রধান চরিত্রে কাস্ট করবেন না। তাই ওই ছবির জন্য আমাকে সিলেক্ট করা হয়নি। অকপটে সত্যিটা বলে ফেললেন আমিরপুত্র— তবে আমি এটাও স্বীকার করব যে, আমির খানের ছেলে না হলে হয়তো মহারাজ পেতাম না।
সিদ্ধার্থ পি মালহোত্রা পরিচালিত এবং ওয়াইআরএফ এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত, মহারাজ ১৮৬২ সালের মহারাজ লিবেল কেস নিয়ে তৈরি হয়েছে। যেখানে জয়দীপ আহলাওয়াত ও শালিনী পান্ডের পাশাপাশি জুনায়েদ খান অভিনয় করেছেন।
সাংবাদিক তথা সমাজ সংস্কারক করসনদাস মুলজি বল্লভাচার্য গোষ্ঠীর প্রধান, ধর্মগুরু যদুনাথ ব্রিজরতন মহারাজ ও তার শিষ্যদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। ১৮৬২ সালে বম্বে হাইকোর্টে মহারাজ লিবেল মামলাটি ওঠে। মুলজির নির্ভীক সাংবাদিকতা, তদন্তমূলক রিপোর্ট, শুধু অপরাধচক্রেরই পর্দা ফাঁস করেনি, সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বও ফুটিয়ে তুলেছিল। তবে এরপর অজস্র মানহানির মামলা হয় মুলজির উপরে। বড় আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়েন তিনি।
করসনদাস মুলজির চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুনায়েদ খান। অন্যদিকে ধর্মগুরু যদুনাথ ব্রিজরতন মহারাজের চরিত্রে দেখা গেছে জয়দীপ আলাওয়াতকে। সিনেমাটি জুন মাস থেকেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে নেটফ্লিক্সে। সেভাবে সাফল্য না পেলেও প্রশংসিত হয়েছে দুজনের কাজই।
উল্লেখ্য, অদ্বৈত চন্দনের পরিচালনায় শ্রীদেবীকন্যা খুশি কাপুরের সঙ্গে জুনায়েদ খান তার পরবর্তী প্রজেক্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রোমান্টিক কমেডি হিসাবে চিহ্নিত এই ছবিটি হিট তামিল ছবি লাভ টুডের রিমেক। খুশি এর আগে একটি মাত্র সিনেমা করেছেন, তা হলো জোয়া আখতারের দ্য আর্চিজ।