তিনি বলেন, ‘এরা দালাল, এদের কারণের গণহত্যার স্বীকৃতি আজও আমরা পাইনি। পাকিস্তানের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য পাওনা আমরা পাইনি। পাকিস্তানি নাগরিকেরা বছরের পর বছর বোঝা হয়ে আছে। কথা দিয়েও তাদের নাগরিকদের ফেরত নেয়নি। পাকিস্তান একাত্তরে গণহত্যা নিয়ে একটিবারও দুঃখ প্রকাশ করেনি। কোনো সরকারও প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের জন্য বাংলাদেশের কাছে তারা এ যাবত ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। পাকিস্তানের যারা দালালি করে তারা স্বাধীনতার শত্রু।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দুপুরে নয়াপল্টন ময়দানে মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করেছেন, একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন? আপনি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? ২৫ মার্চ গণহত্যা নিয়ে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি, তারা কারা? তারা পাকিস্তানের দালাল। মুক্তিযুদ্ধ সমাবেশ ভুয়া, এটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। হাতে গুনলে কয়জনকে পাবেন? যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কোনো দিন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।’
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি পাকিস্তানি দালালি করে আমাদের শত্রু। এ শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, জেলে চার নেতা হত্যা করেছিল। জয় বাংলা, ৭ মার্চ নিষিদ্ধ করেছিল।’ তিনি বলেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে প্রভু নেই। বিএনপির প্রভু আছে যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে ওকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির বন্ধুরা যখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল, তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে স্ট্রংলি দাঁড়িয়েছিল।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ প্রমুখ।আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।