ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। কলকাতার পাশাপাশি এপার বাংলাতেও কাজ করেছেন তিনি। সবশেষ আশফাক নিপুণের জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ মহানগর-এ দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। এছাড়াও অভিনেত্রী জয়া আহসানের সঙ্গেও বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেছেন অনির্বাণ। যে কারণে দুই বাংলাতেই রয়েছে তার যথেষ্ট ভক্ত।
সম্প্রতি আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যেকার সম্পর্ক ও পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেতা। যেখানে অনির্বাণ বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি কষ্ট দেয় তাকে। একইসঙ্গে এই পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিবিদদের দায় দেখছেন তিনি। অনির্বাণকে প্রশ্ন করা হয়, ভারত-বাংলাদেশের মিষ্টি সম্পর্কে একটু যেন তিক্ততা। শিল্পী অনির্বাণকে কি ছুঁয়ে যায়? খারাপ লাগে?
জবাবে অভিনেতা বলেন, ‘হ্যাঁ ছুঁয়ে যায়। খারাপ লাগে। কী বলব? আমরা আমাদের রাজনীতির দায়ভার দক্ষিণপন্থী নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছি। পুঁজিবাদী আর দক্ষিণপন্থী মতবাদ— আমরা এই করতেই তো পৃথিবীতে এসেছি। ঝামেলা বাঁধাতে, হাঙ্গামা তৈরি করতে।’অভিনেতার সাফ কথা, বাংলাদেশ-ভারতের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী রাজনীতিবিদরা। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক খারাপ করেছেন তারা। অনির্বাণ বললেন, ‘রাজনীতির এটা একটা দিক। এটা করে সমাজের মধ্যে যত রকম অশান্তি, যত রকম ব্যবধান তৈরি করা যায়, করতে থাকো। আর মুনাফা লুটতে থাকো। ভোট লুটতে থাকো। শিল্পপতির টাকা বাড়তে থাকুক। সবাই এসব জানে।’
অভিনেতা বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার ঘৃণা কম, রাগ কম। আমার মা-বাবা, স্কুল, নাটক-ছবির শিক্ষাগুরুরা এর উল্টোটাই শিখিয়েছেন। সময় যা-ই হোক, আমি সেই শিক্ষা আঁকড়েই চলতে চাই। আমি স্নেহের লোক, ভালবাসার লোক, সহমর্মিতার লোক। প্রতিশোধপন্থী নই। যদি ইতিহাসে কোনও রক্ত লেগে গিয়ে থাকে, আধুনিক সভ্যতার সকলের কাজ সেই দাগ মুছে দেওয়া। সেই দাগকে শুশ্রূষা দেওয়া। সেই দাগকে খুঁচিয়ে ঘা করা নয়। আমি এটা সময়ের দায়িত্ব বলে মনে করি। রাজনৈতিক নেতারা সেটা মনে করেন না। তাদের যেটা কাজ তারা সেটা করছেন।’
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে গিয়ে কাজ করবেন কি না, এমন প্রশ্নে অনির্বাণ বললেন, ‘এখনও তেমন ভাবনা নেই। তবে ‘মহানগর ৩’ সিরিজের অপেক্ষায় রয়েছি। সিরিজের দ্বিতীয় পর্বের একেবারে শেষ দৃশ্যে ছিলাম। রজক আলি চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। ‘মহানগর ৩’ হলে আমার ডাক পাওয়ার কথা। তবে কবে করবে তা এখনও জানি না।’