২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচনে ১৫তম নির্বাহী সদস্য পদে সাবেক জাতীয় ফুটবলার সাইফুর রহমান মনি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এখলাস উদ্দিন সমান ৬১টি ভোট পেয়েছিলেন। সেই সমতা ভাঙার জন্য আজ (শনিবার) বাফুফে ভবনে পুনরায় নির্বাচন করেন। এ নির্বাচনে জিতে বাফুফের সর্বশেষ সদস্য হয়েছেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার মনি। আজ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাফুফে ভবনে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ১৩৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১০৭ জন ভোট দিয়েছেন। পনেরো মিনিট পরই বাফুফের নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা করে। বাফুফের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘১০৭ টি ভোটই বৈধ। কোনো ভোট বাতিল হয়নি। সাইফুর রহমান মনি ৫৬ ও এখলাস উদ্দিন ৫১ ভোট পেয়েছেন। বেশি ভোট পাওয়ায় মনি নির্বাচিত।’
সাবেক জাতীয় ফুটবলার মনি বাফুফের বিগত দুই নির্বাচনেও সদস্য প্রার্থী ছিলেন। অবশেষে জয় পাওয়ায় তার মুখে স্বস্তির হাসি, ‘চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় অবশেষে জিতলাম। একটি সদস্য পদের জন্য কাউন্সিলররা কষ্ট করে এসেছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সাইফুর রহমান মনি এখন চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রধান কোচ। বাফুফে নির্বাহী কমিটির সদস্য, আবার প্রিমিয়ার লিগের কোচ– বিষয়টি অনেকটা স্বার্থের সংঘাত। এই প্রসঙ্গে মনি বলেন, ‘ফুটবল ফেডারেশন থেকে আমাকে ফুটবল উন্নয়নে যে দায়িত্ব দেবে সেটা পালন করব। কোচিং আমার পেশা।’ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন বোর্ড পরিচালক ও বিভিন্ন দলের কোচিং করানোয় প্রশ্ন উঠত প্রায় সময়। ফুটবলে নির্বাহী সদস্য ডাগআউটে থাকলে রেফারিদের প্রভাবিত করার অভিযোগও পুরনো। এই প্রশ্ন উঠলে মনি জবাব দেন, ‘বাফুফের যে নিয়ম আছে বা হবে, আমি সেটাই অনুসরণ করব।’
বাফুফের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন ২০০৮ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। পঞ্চম মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘ এটাই শেষ দায়িত্ব।’ আজ পঞ্চমবার বাফুফে নির্বাচন সম্পন্ন করার পর বিষয়টি উত্থাপিত হলে তিনি পরিষ্কার করে কিছু বলেননি, ‘এই কমিটির মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত। ওই সময় তারা সিদ্ধান্ত নেবে। ফিফার সাধারণ নীতি নির্বাচন কমিশনে ২-৩ বারের বেশি নয়। বাফুফেতে এরকম কিছু নেই। এরপরও ফিফার নীতি অনুসরণ করা দরকার। পাঁচ নির্বাচনের মধ্যে এবার নির্বাচন ছিল নিরুত্তাপ।’