দুঃসময় যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রিয়াল মাদ্রিদের। লা লিগায় গত সপ্তাহে ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষ এক হালি গোল হজম করার পর এবার ফের হেরে বসেছে দলটি। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল এসি মিলানের বিপক্ষে হজম করেছে ৩ গোল। ম্যাচ হেরেছে ৩-১ ব্যবধানে।
এদিন সান্তিায়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের শুরুটা হয়েছিল গোল হজম করে। ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় মাদ্রিদকে স্তব্ধ করে এগিয়ে যায় মিলান। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলকে হেডে জালে জড়িয়ে অতিথিদের এগিয়ে দেন মালিক চিয়াও। পরের মিনিটেই সমতা ফেরার সুযোগ পায় রিয়াল। যদিও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস।
তবে ম্যাচে ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি রিয়াল। ব্যালন ডি’অর না পাওয়ার দুঃখ ভুলে রিয়ালকে সমতায় ফেরান ভিনি। রিয়াল সমতায় ফেরে ভিনির পেনাল্টি থেকে করা গোলে।
অবশ্য সেই সুখ মিলিয়ে যায় বিরতিতে যাওয়ার আগেই। ৩৯ মিনিটে দ্বিতীয় দফা পিছিয়ে যায় রিয়াল। রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন রাফায়েল লিয়াওয়ের শট ঠেকিয়ে দিলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ঠিকই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন আলভারো মোরাতা। ৪৩ মিনিটে বল পেয়ে দারুণ গতিতে মিলানের বক্সের ঢুকে শট নেন এমবাপ্পে। তবে মিলান গোলরক্ষক মাইক মানিয়াঁর দৃঢ়তায় সমতায় ফেরা হয়নি রিয়ালের। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় রিয়ালকে।
বিরতির পর দুটি পরিবর্তন আনে রিয়াল। অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির জায়গায় আসেন ব্রাহিম দিয়াজ এবং ফেদে ভালভের্দের জায়গায় আসেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। দুই পরিবর্তন নিয়ে শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে রিয়াল। দ্রুত সুযোগও তৈরি করে। তবে তা গোলের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
অন্যদিকে একের পর এক প্রতি আক্রমণে রিয়ালকে কাঁপিয়ে দিতে থাকে মিলান। একাধিকবার গোলের খুব কাছে গিয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি তারা। তবে ম্যাচ যতই এগোচ্ছিল হতাশা বাড়ছিল রিয়ালের। এমবাপ্পে–ভিনিসিয়ুসদের একের পর এক প্রচেষ্টাও দেখছিল না আলোর মুখ।
রিয়ালের আগ্রাসী ফুটবলে রক্ষণ দুর্বল হয়ে পড়ে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান ৩-১ করেন রেইনডার্স। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে হজম করা ওই গোলের পর ৮১ মিনিটে আন্তোনিও রুদিগারের গোল করলেও সেটি বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। হতাশ হতে হয় রিয়ালকে। সেই হতাশা আর কাটাতে পারেনি দলটি। ম্যাচ হেরেছে ৩-১ ব্যবধানে।