উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার যুদ্ধে যোগ দিলে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে নতুন কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনা সদরদপ্তর পেন্টাগন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এই ঘোষণা এসেছে। খবর রয়টার্সের।

আড়াই বছর ধরে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়া ও পশ্চিমাদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সংঘাত সৃষ্টি করেছে। রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, এই যুদ্ধ এখন সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে প্রবেশ করছে।

ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমাদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে। তারাও বলছেন, এই যুদ্ধের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এমনকি গাজা ও লেবাননে যুদ্ধ ঘিরে সবার মনোযোগ মধ্যপ্রাচ্যের দিকে সরে যাওয়ার পরও।

রাশিয়াও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেটি হলো তারা যদি ইউক্রেনকে পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে গভীরে আঘাত করার অনুমতি দেয়, তাহলে সেটাকে বড় ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি হিসেবে বিবেচনা করবে মস্কো।

পেন্টাগন জানিয়েছে, পূর্ব রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০ হাজার সেনা প্রশিক্ষণের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও গত বুধবার এই সংখ্যাটা ৩ হাজার বলে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ঘটনাটি খুব বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেছেন, এসব সেনার একটি অংশ ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের কাছাকাছি চলে এসেছে। আমরা ক্রমবর্ধমানভাবে উদ্বিগ্ন যে রাশিয়া এই সেনাদের যুদ্ধ বা ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার জন্য ব্যবহার করতে চায়।

ক্রেমলিন শুরুতে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ভুয়া খবর বলে অস্বীকার করেছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার পুতিন উত্তর কোরিয়ান সেনাদের রাশিয়ায় থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেননি এবং বলেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে তাদের অংশীদারিত্ব চুক্তি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা মস্কোর নিজস্ব ব্যাপার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *