উইকেটে যত না বাউন্স তারচেয়ে অনেক বেশি বাউন্স করছে রাজশাহীর চেক। এ যেন নিরন্তর এক খেলা! এর আগে পারিশ্রমিকের প্রশ্নে দলটির বিদেশি ক্রিকেটাররা ম্যাচ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন। তাতেও হুঁশ ফেরেনি ফ্র্যাঞ্চাইজির। মঙ্গলবার আবারও চেক বাউন্সের খবর গণমাধ্যমে।

রাজশাহীর পেমেন্ট জটিলতা যেন শেষ হওয়ার নয়। এ প্রসঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কীভাবে সামনে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসব, এ নিয়ে রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’

সমস্যা হলো, বিসিবি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে এখনো আলোচনার ক্রিজে হাঁটছে। প্রশ্ন হলো, আইনি ব্যবস্থা নিতে বিসিবির কুণ্ঠাবোধ কেন?

নাজমুল যদিও বলেছেন, ‘আমরা এটা বলতে পারি না যে, এই সমস্যার (খেলোয়াড়দের পেমেন্ট) জন্য অন্য কেউ দায়ী। আমাদের এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিতেই হবে।’

এদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা বিপিএলের টিকিট বিক্রির অর্থ থেকে একটি অংশ দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এর উত্তরে নাজমুল বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে টিকিট বিক্রি করে পাওয়া অর্থের অংশ করা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।’ অর্থাৎ, ‘চেষ্টা’ ও ‘আলোচনার’ মধ্যে সীমাবদ্ধ বিসিবি।

সংকট থেকে উত্তরণের দৃশ্যত ও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না তাদের। বিসিবির শৈথিল্যের সুযোগ নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা খেলোয়াড়দের ঘাম শুকিয়ে যাওয়ার আগে মজুরি মিটিয়ে দিতে টালবাহানা করছে। এক্ষেত্রে ‘চ্যাম্পিয়ন’ রাজশাহী।

এবারের বিপিএল শুরু হওয়ার পর থেকে নেতিবাচক খবরের জন্য অহরহ সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে তারা। দলটির নাম বেশ খাসা-দুর্বার রাজশাহী। পারিশ্রমিক অপরিশোধে তারা দুর্বার গতিতে ছুটছে। আর এক্ষেত্রে সম্মতির বাঁশি বাজিয়ে চলেছে বিসিবি!

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *