স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখে সিভিল সার্জন ডা জিয়া হাদিউজ্জামান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( ডিডি এলজি) শারমিন আক্তার, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন আহমেদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিন্দ্র কুমার মণ্ডল, ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব, সমাজসেবার উপ পরিচালক সিদ্দিকী সোহেলী রশিদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আজকের চুয়াডাঙ্গা পত্রিকা সম্পাদক বিপুল আশরাফ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক দীপক কুমার শাহা, জেলা মৎস্য অফিসার দীপক কুমার পাল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক আসলাম হোসেন অর্ক প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার ব্রান্ড কালো ছাগল। এই ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল সংরক্ষণের জন্য প্রাণী সম্পদ অফিসের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তা না হলে এজাতের ছাগল হারিয়ে যাবে। তিনি বাড়ির আঙ্গিনায় ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালনের পরামর্শ দেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল সংরক্ষণের জন্য আমরা স্বল্প পরিসরে প্রকৃত খামারিদের কাছে নামমাত্র মূল্যে পাঠা ও ছাগী দেওয়া হয়। এছাড়া রমজান উপলক্ষে জেলার ৪ উপজেলায় সাধারণ ক্রেতাদের জন্য মুরগী, ডিম ও গরু মাংস বিক্রি কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
জেলা রেজিস্ট্রার লোকমান হোসেন বলেন, ৪ উপজেলায় ফেব্রুয়ারি মাসে ২ হাজার ৫৫০ টি দলিল রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৬ কোটি ৬০ লাখ ৯৮ হাজার ১৮৭ টাকা। তিনি আরো বলেন চুয়াডাঙ্গা বিবাহ বিচ্ছেদ আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালে ৭ হাজার ৪০৯ জনকে তালাক দেয়া হয়েছে। যা শতকরা হিসেবে ৭১.৩৯ ভাগ। ২০২৪ সালে তালাকের সংখ্যা ৫ হাজার ৯শ জন। শতকরা হিসেবে ৬৮ ভাগ।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, চুয়াডাঙ্গায় মোট ১৭ লাখ পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে ১২ লাখ ৬৩ হাজার বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা জিয়া হাদিউজ্জামান বলেন, সদর হাসপাতালে চাহিদার তুলনায় রোগী বেশি থাকায় ওষুধের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তবে কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, আসন্ন গরমে বিদ্যুৎ ব্যবহারে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। দিনের বেলায় লাইট ব্যবহার বন্ধ ও এসি ব্যবহারে ২৫ ডিগ্রী তাপমাত্রা বা তার উপরে রাখতে হবে। তাহলে বিদ্যুৎ অনেক সাশ্রয় হবে।
উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলার সকল সরকারী আধাসরকারী অফিসের কর্মকর্তারা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সমস্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। উন্নয়ন সমন্বয় সভায় গত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন সহকারী কমিশনার আব্দুর রহমান।