চ্যাম্পিয়নস লিগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। অথচ, চিত্র উল্টো। ম্যাচের বয়স ৩৪ না যেতেই দুই গোল হজম করে বসেছে রিয়াল। প্রথমার্ধে শোধ দিতে পারেনি এক গোলও। এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়ানোয় যেখানে কঠিন সেখানে দারুণভাবে ম্যাচ ভাগিয়ে নিয়েছে রিয়াল। হ্যাটট্রিক করে রিয়ালকে জিতিয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রত্যাবর্তনটাকে রীতিমতো অভ্যাসেই পরিণত করেছে রিয়াল। ম্যাচের ১ ঘণ্টা ২ গোলে পিছিয়ে থাকার পর রিয়াল ম্যাচ শেষ করেছে ৫-২ গোলের দাপুটে জয় নিয়ে। ভিনির হ্যাটট্রিকের দিনে রিয়ালের হয়ে বাকি দুই গোল এসেছে আন্টোনিও রুডিগার ও লুকাস ভাসকেজের কাছ থেকে। ম্যাচের ৬০ মিনিট থেকে যোগ হওয়ার সময়ের তৃতীয় মিনিট, এই ৩৩ মিনিটেই ৫টি গোল করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
লন্ডনের ওয়েম্বলিতে হয়ে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বশেষ ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষ ম্যাচ ছিল এটি। যেখানে মনে হচ্ছিল রিয়ালকে তাদের মাঠে হারিয়ে সেই হারের শোধ তুলবে বরুশিয়া। তবে ম্যাচ শেষে দেখা গেছে তার উল্টো। প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে থাকার পরও দলটিকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটা হয়েছিল রুডিগারের গোলে, ম্যাচের ৬০ মিনিটে। এমবাপ্পের ক্রসে হেড করে ব্যবধান কমান রুডিগার। এর মিনিট দুয়েক পরেই ভিনি করেন সমতা ফেরানো গোলটা। শুরুতে রেফারি অফসাইড দেখিয়ে সেটা বাতিল করে দিলেও পরে ভিএআরে আসে গোলের সিদ্ধান্ত।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ৭ মিনিট বাকি থাকতে লুকাস ভাসকেজের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। বাকিটা একেবারেই ‘ভিনি-শো’। ৮৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটা করেন ভিনিসিয়ুস, নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান ডর্টমুন্ডের অর্ধে, শেষে বক্সের বাইরে থেকে তার অসাধারণ শট যায় জালে। কিন্তু ভিনি থামেননি সেখানেই, যোগ হওয়া সময়ের তৃতীয় মিনিটে পেয়ে যান হ্যাটট্রিকও। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি ভিনির তৃতীয় হ্যাটট্রিক, আর চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম।
একই রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্য ম্যাচে জুভেন্টাসকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে স্টুর্টগার্ট, পিছিয়ে পড়ে পিএসজি ১-১ ড্র করেছে আইন্দহোফেনের সঙ্গে, আর্সেনাল ১-০ গোলে জিতেছে শাখতার দোনেৎস্কের বিপক্ষে, বোলোনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা।