দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী তাহসান খানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের বিয়ের খবর এখনও টপ অব দ্যা কান্ট্রি। বিশেষ করে তাহসানের স্ত্রী রোজা কে নিয়ে এখনও অনুরাগীদের চর্চা তুঙ্গে। কিন্তু তাহসানের সঙ্গে বিয়েতে বসার আগে এই রোজা আহমেদকে কতটা চিনতেন তার অনুরাগীরা? বলা বাহুল্য, তাহসানের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগে থেকেই নেটিজেনদের কাছে বেশ পরিচিত ছিলেন এই মেকআপ আর্টিস্ট। সম্প্রতি রোজা আহমেদের একটি পুরোনো সাক্ষাৎকার ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে রোজা তার ক্যারিয়ার, পেশা নিয়ে বিস্তর আলাপ করেন। সেখানে তাকে বেশ কিছু প্রশ্ন ও নেটিজেনদের নানান অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। সে প্রসঙ্গেই আলোচনা করেন রোজা।
জানালেন, একটা সময় পর্দায় আসার ইচ্ছে ছিল তার। শুধু তাই নয়, জয়া আহসান কিংবা মৌ এর মতো অভিনেত্রীদের সঙ্গেও কাজ করার ইচ্ছে ছিল তার। রোজা বলেন, ‘একসময় ইচ্ছে ছিল মডেল হব, অভিনেত্রী হব।’ সেই সাক্ষাৎকারে ভ্লগারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা ওঠে। যেমন, অনেক ক্ষেত্রে খারাপ ব্যবহার করেন ভ্লগাররা, ঠিকমতো ব্র্যান্ড প্রোমোশন করেন না- এ ধরণের অভিযোগ। সে প্রসঙ্গে রোজা বলেন, ‘এটা যে যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, এখানে আমার বলার কিছু নেই। আমি এত বড় কোনো ভ্লগার হয়ে যাইনি কিংবা কোনো ব্র্যান্ড প্রোমোটারও হইনি। আর এটা আমার মূল পেশাও না। তবে যারা এই পেশায় আছেন, তাদের আমি অনেক সম্মান করি, তারা অনেক ভালো করছেন।’ রোজা বলেন, ‘আমাদের অনেক সিনিয়র ভ্লগার যারা আছেন, যাদের নিয়ে এখন বিতর্ক হচ্ছে তারা অনেক কষ্টে এই জায়গাতে এসেছেন, আর আমরা তাদের থেকেই শিখেছি। যখন আমরা ভ্লগার বলতে কিছু বুঝতাম না, তখন তাদের হাত ধরে বাংলাদেশে ভ্লগ এসেছে।’
সেই সাক্ষাৎকারে এমনও অভিযোগ উঠেছে, অনেক ইনফ্লুয়েনসার কিংবা ব্র্যান্ড প্রোমোটাররা নাকি ফটোশ্যুটে করেই লাখের মতো পারিশ্রমিক নেন। এছাড়াও মেকআপ আর্টিস্টরাও প্রতি মিনিটে হাজার টাকা পারিশ্রমিক নেন বলেও অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে রোজা বলেন, ‘আপনারাই তো আমাদের ভ্যালুটা বাড়িয়েছেন। একজন নামী-দামী সেলিব্রেটির কাছে না গিয়ে আপনারা আমাদের কাছে আসছেন। তাদের থেকেও যদি আমরা বেশি চার্জ করি, তারাও আমাদের নিচ্ছেন- আমরা কেন নেব না। এটা একটা ব্যাবসা আফটার অল।’ রোজা এও বলেন, ‘সে এটা ডিজার্ভ করে, হয়তো সে জন্য এটা তিনি চার্জ করেছেন।’ নিজের মেকআপ আর্ট প্রসঙ্গেও বেশ আলাপ করেন রোজা। বলেন, ‘চাই আমার কাজকে সবাই জানবে। আর আমি বেছে কাজ করি; যেহেতু আমি একজন প্রোফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট। তো দেখা যায় আমার ওই কাজটা আগে। ওইটার ওপরে, ওই ক্যাজুয়ালের ওপরে ডিপেন্ড করে ওই ব্রান্ডকে কাজটা দেওয়া হয়। ওরা যখন চায় তখনই করতে হবে, নইলে আমার ওই কাজটা করা হয় না; কাজ হারিয়ে যায়। কিন্তু দিনশেষে এটা নিয়ে আমার আফসোস হয় না; কারণ কাজগুলো আমি শখের বসে করছি।’
বাংলাদেশের বরিশালে বেড়ে ওঠা রোজা আহমেদ বর্তমানে ক্যারিয়ার গড়েছেন মার্কিন মুলুকে। পড়াশোনা করেছেন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর। পড়াশোনা শেষ করে কসমেটোলজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠাতা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসারও।